এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাড্ডা-দিলীপ আর কৈলাশ- মুকুল দুই হাইপ্রোফাইল বৈঠক ঘিরে তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

নাড্ডা-দিলীপ আর কৈলাশ- মুকুল দুই হাইপ্রোফাইল বৈঠক ঘিরে তীব্র জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এ বিজেপি টার্গেট বাংলা দখল। কিন্তু তার আগে বিজেপির অন্দরে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের চরম দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে সম্প্রতি বাংলাকে নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে শোরগোল তৈরি হয় বলেও খবর আসতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, প্রথমদিন বৈঠক করে কলকাতায় ফিরে আসেন মুকুল রায়। জানিয়ে দেন, চোখের অপারেশনের জন্য তিনি ফিরে আসছেন।

কিন্তু বৈঠকের ভেতরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তার মতানৈক্য হওয়ার কারণেই তিনি সেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন বলে নানা মহলের তরফে দাবি করা হয়। তবে প্রথম থেকেই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ থেকে মুকুল রায় দুজনেই। কিন্তু বিজেপিতে যে কিছুটা হলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিল বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাই এবারে দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ডেকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে ঝাপানোর কথা জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

অন্যদিকে এদিনই কলকাতায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফলে একদিকে দিল্লিতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সর্বভারতীয় সভাপতির বৈঠক এবং অন্যদিকে কলকাতায় মুকুল রায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের বৈঠক নিয়ে এবার বিজেপির অন্দরে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি দুই নেতার মধ্যে যাতে দূরত্ব তৈরি না হয়, তার জন্যই সর্বভারতীয় দুই নেতা এবার ময়দানে নামলেন?

এদিন কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, “নাড্ডাজীর সঙ্গে আমার এক ঘন্টা কথা হয়েছে। বাংলার সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংবাদমাধ্যমে আমাদের দলকে নিয়ে যেসব বিতর্কিত চর্চা হয়, সেই সব আলোচনায় এসেছেন। নাড্ডাজী বলেছেন, দলের সকলকে নিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হবে‌। সকলকে নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, কিছুদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, রাজ্যে পরিবর্তন আনার জন্য তিনি একাই যথেষ্ট। ফলে দিলীপবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে বিজেপি সাংগঠনিক দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, সেখানে কেন দিলীপ ঘোষ একার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনবেন বলে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, দলের অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতা দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বলেও খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ডেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নিদান দিলেন বলেই মনে করছেন সকলে।

এদিকে বেশ কিছু বছর হয়ে গেল মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই একের পর এক দলকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে তেমন ভাবে কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। যার কারণে তার দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে খেলা ঘোরাতে গেলে যে মুকুল রায়কে অত্যন্ত প্রয়োজন বিজেপির, তা ভালই বুঝেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এদিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে মুকুল রায়ের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

তাহলে কি এবার অবশেষে মুকুল রায়ের মান ভাঙাতে তার সঙ্গে বৈঠক করে তাকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়ার কথা বুঝিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অন্যদিকে কৌশলী মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি 2021 এ পরিবর্তন আনতে চাইছে। আর তাই এই দুই ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে বিজেপির এই হাইপ্রোফাইল বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার বার্তা দিলেও তা কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!