প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ভ্যাকসিনের সাথে সাথে বিভিন্ন রকমের প্রতারণার ঘটনা সামনে উঠে আসছে, যার শিকার হচ্ছেন আমজনতা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রতারক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শুধু আমজনতাই নয় প্রতারকদের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেন না খোদ শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরাও। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। কার্যত এযাবৎকালের পুলিশের হাতে ভুয়ো আইএএস অফিসার থেকে শুরু করে ভুয়ো সিবিআই অফিসার, এমনকি ভুয়ো ইডি আধিকারিক সাজা একাধিক প্রতারক একের পর এক ধরা পড়ছে।

আর এবার খাস কলকাতার বুকে প্রতারিত হতে হল তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট সাংসদকে। জানা গিয়েছে, ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে রাজ্যসভার খ্যাতনামা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন এবার প্রতারিত হয়েছেন চন্দন রায় নামক এক ব্যক্তির দ্বারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার গোয়েন্দা দপ্তর। এ প্রসঙ্গে সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁকে এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন। ইতিমধ্যেই লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতেই চন্দন রায় নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ধৃত প্রতারকের বাড়ি দমদমের গোরক্ষবাসি লেনে। ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি উড়ো ফোনের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন এর কাছে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেন। এরপর প্রতারক সাংসদের কাছে টাকা দাবি করে। এর জন্য কারণও দেখানো হয়। এরপরই সন্দেহ হওয়ায় লালবাজারে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি কড়েয়া থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এবং ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত চন্দন রায়। তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে জানার চেষ্টা চলছে, তৃণমূল সাংসদকে প্রতারণা করার জন্য ধৃতের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, বা এই ঘটনার পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবে একেবারে সাংসদকে ফোন করে প্রতারণা করার ঘটনা সামনে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। আপাতত পুলিশি সূত্রে আর কি কি তথ্য সামনে আসে সেদিকেই এখন চোখ সবার।