এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “তুই কোথাও যাস না। তোর মত ছেলেকে দলের খুব প্রয়োজন। ” অনুব্রতর

“তুই কোথাও যাস না। তোর মত ছেলেকে দলের খুব প্রয়োজন। ” অনুব্রতর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে। ঠিক তার প্রাকমুহুর্তে রাজ্যের শাসক শিবিরে শুরু হয়েছে বড়সড় ভাঙন। একের পর এক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ দল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সংগঠনে নেমেছে বড়োসড়ো ধ্বস বলে ধর নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একইদিনে তৃণমূল শিবির থেকে বিদায় নিয়েছেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীকে অনুসরণ করে তৃণমূল শিবিরের অনেকেই দাদার অনুগামী হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। তার মধ্যে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু অন্যতম বলে খবর।

আর আগেভাগেই সেকথা বুঝতে পেরে বিশ্বজিৎকে আটকানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সরাসরি কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে বুধবার রাতে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডল অনুরোধ জানালেন দল না ছাড়ার। এখবর কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নিজেই জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ডিসেম্বর মাসজুড়ে যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে তা রীতিমতো চমকপ্রদক। শাসক দলের সঙ্গে 22 বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন উঠেছে, শুভেন্দু অধিকারী এবার কি করবেন? অনেকেই বলছেন, তিনি শনিবার বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।

এবং তাঁর সঙ্গে আরো বেশ কয়েক জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন দাদার অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে দলকে আগলে রাখতে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা। একটানা তাঁরা বেসুরো নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষোভের কথা শুনছেন। মনে করা হচ্ছে, সেই সূত্রেই কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে ফোন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ কুন্ডু বুধবার রাতে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা জরুরী বৈঠকে যোগ দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, স্পষ্টতই কালনার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে কথা বুঝতে পেরেই ইতিমধ্যেই বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে ধরে রাখার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। বুধবার রাতে কালনার বিধায়ককে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেও একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন। বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এদিন ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন, একটা সময় তিনি এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভের কথা কানে তুলতেন দলের জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতাদের অনেককেই। কিন্তু তাঁর বক্তব্যকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে তাঁরাই আবার বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে ফোন করছেন বলে জানান তিনি। মলয় ঘটক থেকে অনুব্রত মণ্ডল বিশ্বজিৎকে ফোন করে দলে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সেকথাও বলেন বিশ্বজিৎ।

তবে অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে কথা উঠলেই বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, অনুব্রত মণ্ডল হয়তো বিজেপিতে যাবার যে জল্পনা শোনা যাচ্ছে সে দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। যদিও বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কাঁকসা গিয়েছিলেন বৈঠক করতে তাই সেদিকেও ইঙ্গিত দিয়ে অনুব্রত একথা বলতে পারেন। তবে সর্বোপরি বিশ্বজিৎ কুণ্ডু যাতে দল না ছাড়েন সেই আবেদন রেখেছেন অনুব্রত। বিশেষজ্ঞদের মতে, শাসক শিবিরে এই মুহূর্তে একের পর এক নেতা, সাংসদ, বিধায়করা দল ছাড়ছেন। খুব সম্ভব মনে করা হচ্ছে, তাঁরা সবাই গেরুয়া শিবিরের হাত শক্ত করবেন।

আর এই দলবদল নিয়েই এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক চাপানউতোর। তার মধ্যেই তৃণমূলের কাজের ছেলেদের আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলের বিশ্বস্ত নেতা, মন্ত্রীরা। তবে তৃণমূলের সে চেষ্টা সফল হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে অনেকেরই। কারণ জনপ্রিয়তার নিরিখে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে নিজের দিকে তৃণমূল শিবিরের অধিকাংশকে টেনে নিচ্ছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে শুভেন্দু এই মুহূর্তে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুনে গুনে গোল দিচ্ছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!