সোনিয়া গান্ধী নিজে চাইলেও তৃণমূলের সঙ্গে জোট চান না বঙ্গ নেতারা! একুশের আগে জটিল সমীকরণ জাতীয় রাজ্য August 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন যাবতীয় গুটি সাজানো চলছে বাংলায় বাংলার রাজনৈতিক শক্তিগুলোর। নিজেদের শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মেতে উঠেছে শাসক-বিরোধী উভয়ই। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এখনো পর্যন্ত প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। লড়াই তাঁদের মধ্যেই হতে চলেছে মূলত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে দিনে দিনে বাংলার বুকে কংগ্রেস নিজেদের গুরুত্ব হারিয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বাম শক্তির সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা নির্বাচনে নামবেন বলে স্থির হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে হৃদ্যতা চোখে পড়েছে, তা দেখে অনেকেই নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত খুঁজছেন। অন্যদিকে বাংলার কংগ্রেস নেতারা কিন্তু ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে কোনমতেই জোট করতে চায়না। আর এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরী সহ আব্দুল মান্নান প্রত্যেকেই তাঁদের মতামত শুনিয়ে দিয়েছেন। বাংলার কংগ্রেসের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে আখেরে দলের ক্ষতি। 2011 সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে তাঁরা বাম শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। কিন্তু তারপরে ক্রমশ কংগ্রেস পিছিয়ে পড়ে রাজনৈতিকভাবে। ধাপে ধাপে কংগ্রেসের সংগঠনে ভাঙন ধরায় তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্গ কংগ্রেসীদের মতে, কংগ্রেসের যতোটুকু অস্তিত্ব আছে এখন, সেটুকুও চলে যাবে যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা হয়। কারণ বাংলার বুকে মমতা ব্যানার্জি এখনো পর্যন্ত যে একজন বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সে কথা স্বীকার করে নেন সবাই। জোট হলেও প্রচারের আলো যে সবসময় মমতা ব্যানার্জির ওপরেই থাকবে সে কথা অনস্বীকার্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরী বরাবরই মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা করে আসেন। একটা সময় তাঁকে বিজেপির অন্যতম এজেন্ট বলা হত। কিন্তু এখন বাংলাতে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হলো এই মুহূর্তে বিজেপি। অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী লোকসভার দলনেতা হওয়ার পর বিজেপিকে বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করেছেন ঠিকই কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সবসময় বিজেপি কিংবা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে পোস্ট করেন। কিন্তু আক্রমণের ঝাঁঝ বেশীথাকে তৃণমূলের প্রতি বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। একইভাবে বাংলার বিজেপি নেতারা কংগ্রেসকে নিয়ে নানান রকম কটাক্ষ করলেও অধীর চৌধুরীকে নিয়ে কিন্তু কখনো কিছু বলেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জির হৃদ্যতা আজকের নয়, বহু দিনের। বিভিন্ন সময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীকে আলোচনায় দেখা গিয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে সমীকরণ বদলাবার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলে ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বাংলার রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরে, তাহলে বস্তুত তা বিজেপিকে চাপে ফেলার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হবে। আপনার মতামত জানান -