এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নদিয়ায় শাসকদলের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের কি পরিবর্তন হয়ে গেল? হেভিওয়েট বিধায়কের ঘোষণায় বড়সড় চমক

নদিয়ায় শাসকদলের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের কি পরিবর্তন হয়ে গেল? হেভিওয়েট বিধায়কের ঘোষণায় বড়সড় চমক

এতদিন নদীয়ায় যে অরিন্দম ভট্টাচার্যই ছিল শাসকদলের মূল ভরসা, এখন জেলার সিংহভাগ দলীয় নেতারাই সেই অরিন্দম বাবুরই প্রবল বিরোধি হিসাবে পরিচিত স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দেকেই জোরালো ভাবে চাওয়ার দাবি জানালেন।

সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার নদীয়ার শান্তিপুরের সভায় সেই তৃনমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যেরই ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের তৃনমূল বিধায়ক শংকর সিং পুরপ্রধান অজয় দের নেতৃত্বরই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যা নদীয়া জেলা তৃনমূলের অন্দরে এক নতুন মাত্রা যোগ করছে‌ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

জানা যায়, এদিনের সভায় একসাথেই উপস্থিত হন পুরপ্রধান অজয় দে, মন্ত্রী রত্না ঘোষ, নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত এবং শঙ্কর সিংয়ের মত শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী এবং বিধায়কেরা। পরে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের সাথে সেই সভাস্থলে আসতে গিয়ে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হয় শহর তৃনমূলের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র এবং কাউন্সিলর বিভাস ঘোষদের।

এমনকী অরিন্দম বাবু মঞ্চে বক্তব্য রাখবার সময় উপস্থিত সভায় কিছু দলীয় কর্মীদের চিৎকারে বেশ বিরক্ত হয়ে যান তিনি। পরে সেই অরিন্দম ভট্টাচার্যের নেতৃত্ব নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ শোনা যায় সেই অরিন্দমবাবুরই ঘনিষ্ঠ শঙ্কর সিংয়ের গলায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, নদীয়ায় অরিন্দম ভট্টাচার্যেরই বিরোধী হিসাবে পরিচিত অজয় দের প্রশংসা করে শঙ্কর সিং বলেন, “অরিন্দমকে ভাবতে হবে অজয় অনেক বেশি অভিজ্ঞ। ওঁর থেকে পরামর্শ নিতে হবে। অজয়ের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক তৈরি করবেন না। ওঁকে সকলে ফলো করুন।”

কিন্তু হঠাৎ অরিন্দম ভট্টাচার্য থেকে সরে গিয়ে অজয় দের হয়েই কেন সওয়াল করলেন রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের তৃনমূল বিধায়ক শঙ্কর সিং? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় এই অরিন্দম ভট্টাচার্যের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

এমনকী কিছুদিন আগেই শান্তিপুরের বিষমদ কান্ডের পরে রাজ্য নেতৃত্বের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল এই অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। আর অরিন্দম ভট্টাচার্যের এহেন বেগতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কিছুদিন আগেই একটি চিঠি দেন স্থানীয় তৃণমুল লেখক কুমারেশ চক্রবর্তী। আর এদিন দলের সভায় সেই অরিন্দম ভট্টাচার্য স্থানীয় পুরপ্রধান অজয়দের ওপরই নির্ভরশীল হওয়ার সুর শোনা গেল শংকর সিংয়ের গলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!