এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাসকদলের ‘খিচুড়ি’ বিবাদেও সন্ত্রস্ত পুলিশ! ডোমকল নিয়ে নতুন অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে

শাসকদলের ‘খিচুড়ি’ বিবাদেও সন্ত্রস্ত পুলিশ! ডোমকল নিয়ে নতুন অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে


শীতের কনকনে ঠান্ডায় বছরের শুরুর দিনে গরমাগরম খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কিন্তু সেই খিচুড়ি প্রতিযোগিতা ঘিরেও শাসকদলের দু’পক্ষের কোন্দলকে ঘিরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল ডোমকল। যেখানে তৃণমূলের দুই পক্ষের তরফ থেকে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে একজন আরেকজনের দিকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন।

যেখানে এ পক্ষ থেকে কেউ বলেছে, “আরে আমাদের খিচুড়ির সঙ্গে মুরগির মাংস রয়েছে 15 কুইন্টাল।” পাল্টা ওপক্ষ থেকে জবাব এসেছে, ” আরে তোদের মুরগি মানে তো পোল্ট্রি, আমাদের খিচুড়ির সঙ্গে রেওয়াজি খাসির মাংস আছে।” কিন্তু ঠিক কাদের কাদের উদ্যোগে হওয়া এই পিকনিককে ঘিরে এহেন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হল?

সূত্রের খবর, এদিন ডোমকলের প্রতিটি বুথেই খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেছিলেন ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। অন্যদিকে ডোমকলের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে দলের পতাকা টাঙ্গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন ডোমকল পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী সালামতুল্লা। অনেকেই বলছেন, এ আসলে কোনো পিকনিক নয়, নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দুই নেতার এহেন উদ্যোগ।

একদিকে সৌমিক হোসেন আর অন্যদিকে সালামতুল্লার উদ্যোগে হওয়ায এই দুই পিকনিকের ঠিক কোথায় কে যাবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন স্থানীয়রাও। কেননা একদিকে সৌমিক হোসেন স্থানীয় ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান আর অন্যদিকে তৃণমূলের ডোমকল পৌরসভারই এক কাউন্সিলরের স্বামী এই সালামতুল্লা। ফলে একজনের পিকনিকে গেলে আর একজন রাগ করবেন। তাই এই পরিস্থিতিতে শ্যাম ও কুল একই সাথে ধরে রাখতে ঠিক কি করা যায় তা নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা।

তবে স্থানীয়রা যাই ভাবুক না কেন! নেতাদের তাতে কিছুই এসে যায় না! কেননা এই পিকনিকে তাদের কত লোক এসেছে তার হিসেব কষে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে চলেছেন শুরু করেছেন সৌমিক হোসেন ও সালামতুল্লার গোষ্ঠীরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সালামতুল্লা বলেন, “15 হাজারের বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বছরের প্রথম দিনে আমরা শপথ নিয়েছি যে শরণার্থী এক নেতাকে আমরা গঙ্গার ওপারে ফেরত পাঠাবো।” নাম না করলেও এই কথাটি যে তিনি সৌমিক হোসেনকে উদ্দেশ্য করেই বললেন সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

এদিন সেই সালামতুল্লার গোষ্ঠীকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে সৌমিক হোসেনের অনুগামীরা বলেন, “15 হাজার লোক নিয়ে এত কথা না বলাই ভালো। বুথ সংখ্যা এবং লোক সংখ্যা কত তা একবারতো ওরা মিলিয়ে দেখে নিলেই পারে।” কিন্তু এইভাবে একই জায়গায় কেন পৃথক পৃথক ভাবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করলেন তাঁরা? তাহলে কি এর পেছনে গোষ্ঠী কোন্দলই কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

এই প্রসঙ্গে সৌমিক হোসেন বলেন, “নতুন বছরের প্রথম দিন আমরা বুথে বুথে খিচুড়ি মাংসের আয়োজন করেছি। শুনেছি, ডোমকলের রেশন ডিলার ও ইটভাটা সংগঠনই কিছু লোকজনও মানুষকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছেন।” সবমিলিয়ে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে খিচুড়ি- মাংসের আয়োজন ঘিরেও এখন শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছায়া পড়ে পড়ায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে ডোমকলে।

এদিকে এই নিয়ে ঘুম উড়েছে পুলিশেরও। তৃণমূলের দু’পক্ষের এমন খিচুড়ি-প্রতিযোগিতায় দিনভর সতর্ক থাকতে হল পুলিশকে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘দু’পক্ষের গন্ডগোল তো লেগেই আছে। আর এই খিচুড়ি নিয়ে দু’পক্ষ যা শুরু করেছিল তাতে যে কোনও সময় বড় গন্ডগোল হতেই পারত। ফলে বাড়তি পুলিশের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। খিচুড়ি কতটা গরম ছিল জানি না। তবে খিচুড়িকে কেন্দ্র করে ডোমকল বেশ তপ্ত ছিল।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!