জাতপাতের ‘রাজনীতি’ করতে কড়া শাস্তির মুখে বঙ্গ বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 21, 2018 বক্তব্যে ‘জাতপাতের প্রসঙ্গ’ উত্থাপন করার জেরে দলেরই কোপের মুখে পড়তে হল জলপাইগুড়ির বিজেপির সাত জন নেতা নেত্রীকে। ঘটনাটি জানানো হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেও। তাঁর নির্দেশ না আসা অব্দি দলীয় কোনো কার্যক্রমে ঠাই মিলবে ওই সাত নেতা-নেত্রীর, এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হল এদিন বিকেলে মোহিতনগরে অায়োজিত দলীয় পূর্নাঙ্গ কমিটির বৈঠকে। এই বৈঠকে ডাক হয়নি অভিযুক্ত বিজেপি নেতা-নেত্রীদের। খুব শীঘ্রই দলের এক ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ ছয়জন জেলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে তাঁদের ‘শো-কজ’ও করা হয়েছে। এমনটাই জানা গেল দলীয় সূত্রের খবরে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আসন্ন লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ওই সাতজন নেতার সই করা একটি চিঠিকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে গেরুয়াশিবিরে। জেলা নেতৃত্ব বদলের প্রস্তাব দিয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল ওই সংশ্লিষ্ট নেতা-নেত্রীদের কাছে। সে চিঠিকে পাত্তা না দিয়ে উল্টে জাতপাতের প্রসঙ্গ তোলার জেরে হইচই বেঁধে গিয়েছে দলীয় অন্দরেই। ক্ষুব্ধ সহযোদ্ধারাও, খুব জলদিই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পক্ষপাতী দলের প্রায় সিংহভাগ সদস্যই। উল্লেখ্য,তপসিলি প্রধান জেলা হওয়ায় জলপাইগুড়িতে লোকসভা ভোটের আগে একজন এসসিকে জেলা সভাপতির কুর্সিতে বসানোকে কেন্দ্র করেই তুলকালাম বেঁধে যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রের খবর থেকে। এ প্রসঙ্গে, অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, ৬৪% মানুষ তপসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত জলপাইগুড়িতে। লোকসভা ভোটের আগে জেলার সাংগঠনিক শক্তিকে আরো পোক্ত করতে কিছু প্রস্তাব রাজ্য নেতৃত্বকে গত ২৪ জুলাই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আর সেই চিঠিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গেলো দলীয় অন্দরেই। দলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী জানান,দলের অন্দরেই একটি সমস্যা রয়েছে। সেটাই জেলা নেতৃত্বকে দেখার আবেদন করা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -