এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে “জোচ্চোর” বলে কটাক্ষ, তৃণমূল শীর্ষনেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়!

শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে “জোচ্চোর” বলে কটাক্ষ, তৃণমূল শীর্ষনেতার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনী লড়াই এবং তাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আক্রমণ বা প্রতিআক্রমণ রাজনীতির অঙ্গ। কিন্তু সেই আক্রমণের মাঝখানে যদি মানুষের দ্বারা নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধিকে অপমানিত করা হয়, তাহলে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এক্ষেত্রে মানুষের রায়কেই পদদলিত করার অভিযোগ ওঠে নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবার এমনিতেই ময়দান তেতে রয়েছে। একদল অপর দলকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ যেমন করছে, ঠিক তেমনই কখনও কখনও বিরোধীদল হওয়ার কারণে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম মন্তব্য করছেন বিরোধী দলের নেতারা।

অন্যদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে আক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে যে, কখনও কখনও তা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে যথেষ্ট অপমানের মুখে ফেলে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাংবিধানিক শিষ্টাচার মেনে বক্তব্য রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিলেও, তা মানছেন না কেউই। এবার নির্বাচনী ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীকে রীতিমত “জোচ্চোর” বলে আক্রমণ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যাকে কেন্দ্র করে এখন নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলেছেন, এটার মধ্যে অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নেই। কেননা এই অনুব্রত মণ্ডল নির্বাচনের সময় শুধু নয়, নানা সময়ে জনসভা থেকে বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে নানা কটুক্তি করে থাকেন। আর নির্বাচনের সময় তা যে আরও বেশি করে তার কাছ থেকে শোনা যাবে, তা কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে আক্রমণ করতে গিয়ে এবার যেহেতু বিরোধীদের পাল্লা কিছুটা ভারী, তাই বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার মত কাজ করবেন না অনুব্রতবাবুর মত সাংগঠনিক নেতারা বলেই আশা করেছিলেন একাংশ। কিন্তু সেসব কোনো কিছুকেই পরোয়া না করে রীতিমত বিরোধী দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাদের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “জোচ্চোর” বলে বসলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বলা বাহুল্য, এদিন বাঁকুড়ার রানিবাঁধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “8 বছর হল মসনদে, তবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসতে পারছেন না। কারণ তিনি জোচ্চোর।”

স্বাভাবিক ভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে যেমন এখন চর্চা শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনই অনেকে তুলতে শুরু করেছেন প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পক্ষ থেকে বিগত পাঁচ বছরে বিজেপি দেশের জন্য কি করেছে, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন সেই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক ছিল। কিন্তু এটা তো লোকসভা ভোট নয়! বর্তমান ভোট বিধানসভা ভোট। এক্ষেত্রে বিগত 5 বছর রাজ্যের তৃণমূল সরকার কি কি কাজ করেছে, তার জবাব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেন অনুব্রতবাবু প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার কথা বলছেন! আর কেনই বা একজন জনপ্রতিনিধি তথা দেশের সর্বাধিনায়ককে জোচ্চোর বলার সাহস দেখাচ্ছেন তিনি! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নন।

তিনি দেশবাসীর দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রধানমন্ত্রী। তাই তাকে আক্রমণ করা মানে দেশের জনসাধারণকে আক্রমণ করা। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিকভাবে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে গিয়ে এইভাবে যদি আক্রমণ করতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা, তাহলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে যে খুব একটা শুভ লক্ষণ নয়, তা বারেবারে মনে করিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আক্রমণের সময় রাজনৈতিক ময়দানে গরম করতে এবং কর্মী-সমর্থকদের হাততালি পেতে নেতা-নেত্রীরা যদি তাদের এই আচরণ এবং এই রকম বক্তব্য থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় গণতন্ত্রপ্রিয় শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনসাধারণ।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!