প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য জানতে গেলে এখন কেবলমাত্র একটি শব্দই শোনা যায়, সেটি হচ্ছে ‘সংকটজনক’। টানা ২৪ দিন বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে শরীরে করোনা হানায় কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি।

সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ কাটাতে টানা লড়াই করে চলেছেন তিনি। আর এতদিন ধরে সামনে এসেছে তাঁর শারীরিক অবস্থার নানা পর্যায়। প্রথমে প্লাসমা থেরাপি করার পর, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে আবারো তাঁর অবস্থা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলেই জানা গেছে।

তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একদিকে যেমন তাঁর চেতনা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে তাঁর শরীরে দেখা গেছিল সোডিয়াম পটাশিয়াম লেভেল এর ঘাটতি। সেই সঙ্গে এতদিন চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা জটিলতা দেখা গিয়েছিল। এতদিন তাঁর স্নায়ুরোগ সংক্রান্ত সমস্যা না দেখা গেলেও তাঁর স্নায়ুবিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

তবে সম্প্রতি জানা গেছে, গত চার দিনের মধ্যে সম্প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একটু হলেও স্থিতিশীল রয়েছেন। কোনরকম সাপোর্ট ছাড়াই তাঁর রক্তচাপ রয়েছে ১৪৫/৯০। গতকাল রাতে ৫০% ভেন্টিলেশন সাপোর্ট ছাড়াই তিনি ছিলেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া অন্ত্রে রক্তক্ষরণ বা শরীরে জ্বর কোনটাই নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

তবে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিত্সকেরা। সুতরাং শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে গেলেও এখনি যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন একথা কিন্তু বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তবে এর কারণ হিসেবে বস্তুত কভিড এন্সেফ্যালোপ্যাথিকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা। বস্তুত এর কারণেই নাকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চেতনা হারিয়েছিলেন বলেই মনে করছেন ডাক্তারেরা।

সেইসঙ্গে নেমে গিয়েছিল তাঁর গ্লাসগো কোমা সেল। অন্যদিকে কিডনি কাজ না করায় ডায়ালিসিস চলছিল। সেইসঙ্গেই তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ডাক্তারেরা। গতকাল তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটা কমে গেলে তা স্বাভাবিক করতে তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে গতকাল দুপুরে তাঁর নাম ধরে ডাকা হলে তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।