প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়ার পর জল্পনা আরো বেড়ে যায়। সেখানে তাঁকে দলে রাখার ক্ষেত্রে বৈঠক করা হলেও ভবিষ্যতে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা।

এমন পরিস্থিতিতে দলে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বেশকিছু নেতা মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁরা শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে, তাঁদেরও দল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল, সেটা আগেও বহু রাজনৈতিক বলেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে দলে তাই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের আগে থেকেই পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তথ্য সূত্র জানা গেছে। সেখানে কিছুদিন আগে প্রণব বসুকে মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আর এরপর সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমা খড়ার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান উত্তম মুখোপাধ্যায়কেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। আর সেখানে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে। আর এরপরই পুরসভার এই কাজে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

যদিও এ প্রসঙ্গে শঙ্করবাবু বলেন, সরকার একটি নোটিশ জারি করেছে। সেখানে খড়ার পুরসভার প্রশাসক হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে। সেই নির্দেশ মেনেই প্রশাসক হিসেবে শুক্রবার তিনি দায়িত্ব নেবেন বলেই জানান। অন্যদিকে, গতকালই পুরসভা এই নির্দেশ পায় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার শঙ্করবাবু পুরসভায় গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তম মুখোপাধ্যায় দু’বারের কাউন্সিলর। সেইসঙ্গে তিনি পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়।

সেখানে তাঁকে পদ থেকে সরানোর পিছনে তাঁর ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠতা’কেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ গত অক্টোবরে ঘাটালে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যে উত্তমবাবুর ভূয়সী প্রসংশা করেছিলেন। যদিও ওই দিনের কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন না। তবে সম্প্রতি তাঁকে সরানোর পিছনে শুভেন্দু অধিকারী কারণ হিসেবে রয়েছে বলেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যেখানে শুভেন্দু অধিকারী পদ ছাড়ার পর দলের কোন বিধায়কদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন, সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। অন্যদিকে, জানা গেছে উত্তমবাবু শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। তবে তাঁকে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলেই জানা গেছে।