এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু-গড়ে সমর্থন এখনও মমতার সঙ্গেই? পদযাত্রায় উপচে পড়া ভিড়ে হাসি ফুটছে ঘাসফুল শিবিরে

শুভেন্দু-গড়ে সমর্থন এখনও মমতার সঙ্গেই? পদযাত্রায় উপচে পড়া ভিড়ে হাসি ফুটছে ঘাসফুল শিবিরে


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসমর্থন এখনও অটুট। গতকাল হলদিয়া যুব তৃনমূলের পদযাত্রায় বিপুল জনসমাগম দেখা গেলো। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে গতকাল হলদিয়ার কদমতলা থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত পদযাত্রা
চললো। যেখানে সামিল হলেন হাজার হাজার মানুষ, যতই পদযাত্রা এগিয়ে চলল, ততই বাড়লো ভিড়। মাত্র, ২৪ ঘণ্টার নোটিশ দিয়ে, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে হলদিয়ার এই মিছিলে উপচে পড়া ভিড় দেখে হাসি চওড়া হলো তৃণমূলের। পদযাত্রার পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে দুজন মন্ত্রী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হলদিয়াতে পদযাত্রা ও সভা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এই কর্মসূচির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল হলদিয়া শহর যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ আসগর আলিকে। এই পরীক্ষায় সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন তৃণমূলের যুব নেতা শেখ আসগর আলি। বিপুল জনসমাগম দেখে দুই মন্ত্রী তাঁকে বিশেষ বাহবা দিলেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিকে সামনে রেখে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এর সমস্ত কারখানায় যেতে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

গতকাল বিকেল পৌনে চারটে থেকে হলদিয়ার কদমতলাতে শুরু হলো এই পদযাত্রা। বহু যুব তৃণমূল কর্মী পদযাত্রাতে সামিল হয়েছিলেন। রবীন্দ্র-নজরুল সরণিতে এই পদযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক ভাবে উচ্ছ্বসিত হলেন তৃণমূল কর্মীরা। বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন। গতকালের এই পদযাত্রা হলদিয়া পুরসভা, এইচডিএ অফিসের সামনে থেকে সিটি সেন্টার দিকে এগিয়ে গেল। রাস্তার দুদিকে জমায়েত করলেন অসংখ্য মানুষ।

গতকালের এই কর্মসূচি থেকে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি সবসময় রাজ্যের মধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করতে চেষ্টা করছে, সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। তিনি জানালেন যে, নোট বন্দি থেকে জিএসটি বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষের। পক্ষান্তরে, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে লক্ষ লক্ষ পরিবার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি দাবি করেছেন যে, ষড়যন্ত্র, আক্রমণ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করবে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, কেউ কেউ বলছেন সোনার বাংলার কথা। তিনি জানাচ্ছেন, সোনার বাংলা করতে হলে আগে উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, ত্রিপুরাকে করে দেখান তাঁরা। বাংলাকে সোনার বাংলা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষই গড়বেন বাংলাকে।

দমকল মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙ্গার একটা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক স্থিতাবস্থা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাঁর দাবি, বাংলায় সমস্ত উৎসব শান্তিতেই হচ্ছে। বাংলাকে যারা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে সকলকে এক হবার আহ্বান জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, ভয় পাবার কোন কারন নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প তিনি ছাড়া আর কেউ নয়।

অন্যদিকে গতকাল বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, তাঁরা মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করেন। গণতন্ত্রের সর্বশেষ কথা বলার অধিকারী মানুষ। যদি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি না করা হয়, তাহলে সেই রাজনীতি মূল্যহীন। তিনি জানালেন যে, অনেকেই আছেন যারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান। আবার অনেকে আছেন যারা শুধু শাসন করতে চান। কিন্তু তাঁরা মানুষকে পরিষেবা দিতে দিতে চান। মানুষের সেবা করতে চান। তিনি আরও জানালেন যে, রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা প্রয়োজন। মানুষকে আঘাত দেওয়ার মতো কোনো কাজ করা, তাদের উচিত নয়।

গতকালের এই মিছিল প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তাদের প্রতি যদি সমর্থন না থাকে, তবে এত বড় মিছিল কখনোই বের করা যায় না। তাঁর কথায়, মানুষের সমর্থন নিয়ে চলতে হবে। এর সঙ্গেই চালাতে হবে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। মানুষের জন্য যিনি কাজ করেছেন, তাঁর সঙ্গেই থাকতে হবে। তিনি জানালেন যে, তাঁরা নয় বছর ধরে সরকার চালিয়েছেন। আজকে তাঁরা পরীক্ষিত। তাই আগামী দিনে যদি কাউকে ভরসা করতে হয়, তাহলে তা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দল ছেড়ে দিতে পারেন, এমন একটা জল্পনা রয়েছে। এবার তাঁর গড়েই তৃণমূলের বিপুল জামায়াত দেখে হাসি চওড়া হলো ঘাসফুল শিবিরের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!