এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সুপার ফ্লপ মমতা? উপাচার্য নিয়োগে আইনই বড় অস্ত্র রাজ্যপালের! স্পস্ট ইঙ্গিত!

সুপার ফ্লপ মমতা? উপাচার্য নিয়োগে আইনই বড় অস্ত্র রাজ্যপালের! স্পস্ট ইঙ্গিত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা সকলেই জানেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে যা ইচ্ছে, তাই বলে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তারপরেও আবার মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কারওর কথায় চলবেন না। তবে রাজ্য সরকার যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্য যেই পদক্ষেপই নিক না কেন, রাজ্যপাল যে একেবারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, তা সমর্থন করে স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের রাধা গোবিন্দ মন্দিরের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আইনের কথা তুলে ধরেন। বুঝিয়ে দেন, হাইকোর্টে গিয়ে একবার এই নিয়ে থাপ্পড় খেয়েছে রাজ্য সরকার। তাই রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা আইন অনুযায়ী বৈধ। আর এতে রাজ্যের সরকারের কিছু করার নেই। অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু তার বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেঁচামেচি করলেও যে আখেরে কোনো লাভ হবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন।

বলা বাহুল্য, রাজ্যপাল একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইতিমধ্যেই নিয়োগ করেছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্যের কথামতো চলবেন বলেও বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। আর তাতেই রাজ্য সরকার ক্ষেপে উঠেছে। রাজ্য চাইছে, তাদের কথামতই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংঘাত। রীতিমতো হুশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপালের নির্দেশ মানা হলে বেতন দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাকে ফ্যাসিস্ট বলেই আখ্যা দিচ্ছে শিক্ষাবিদরা। আর এর মাঝেই রাজ্যপাল কি এই উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন, আইন অনুযায়ী কি তা বৈধ, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপালের পক্ষই অবলম্বন করলেন বিরোধী দলনেতা।

শিক্ষাবিদের একাংশ বলছেন, রাজ্যপালের এই উপাচার্য নিয়োগের মধ্যে তো কোনো স্বার্থ নেই। রাজ্যপাল চাইছেন, সরকারের চাপিয়ে দেওয়া কোনো নীতি অনুযায়ী যেন বিশ্ববিদ্যালয় না চলে। এক্ষেত্রে উপাচার্যের ওপরেই তিনি সব সিদ্ধান্ত ছাড়তে চাইছেন। কিন্তু রাজ্য চাইছে, তারা অর্থ দেবে, তাই তারাই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করবে। আর এখানেই রাজভবনের আপত্তি। তাই রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নিহিত স্বার্থ থাকলেও, রাজভবনের তা নেই। তাই রাজভবনের এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আইনগত ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বিশেষজ্ঞদের এই মত যদি বাস্তব হয়, তাহলে রাজভবনের নির্দেশ অমান্য করার ক্ষেত্রে যে সুপার ফ্লপ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, সেই ব্যাপারে একমত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!