এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার প্রশাসনে চরম দলতন্ত্র, “রক্তে তৃণমূল” বলে বিতর্কে জড়ালেন স্বয়ং বিডিও!

মমতার প্রশাসনে চরম দলতন্ত্র, “রক্তে তৃণমূল” বলে বিতর্কে জড়ালেন স্বয়ং বিডিও!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্য প্রশাসনে দলতন্ত্রের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। নির্বাচনের সময়ও প্রশাসনকে দিয়ে কারচুপি করানোর এবং নিজেদের জেতার সমস্ত রাস্তা প্রস্তুত করে রাজ্যের শাসক দল। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। তবে প্রশাসনে যে এতটা নির্লজ্জভাবে দলতন্ত্রের নিদর্শন পাওয়া যাবে, তা সত্যিই কল্পনার অতীত। তবে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক বিডিওর কীর্তির কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরে প্রশাসনে যে দলতন্ত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

প্রসঙ্গত, এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বিডিওকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা বিডিওদের দেখে বুঝেছি, এরা এখন বুথ ডাকাতি অফিসার হয়ে গিয়েছে। বালুরঘাটের ভিডিও ভোটের সময় সাংবাদিকদের সামনে বলছেন, আমার রক্তে তৃণমূল।” অর্থাৎ প্রশাসনে যে কিভাবে দলীয়তন্ত্র প্রবেশ করেছে এবং প্রশাসনকে দিয়ে দলকে জেতানোর যে কৌশল রাজ্যের শাসক দল প্রয়োগ করতে শুরু করেছে, তা যে গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

বলা বাহুল্য, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর বা বালুরঘাট নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই ব্লক স্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ভোটের গণনার সময়ও সেই ব্লক স্তরের আধিকারিকরা বিরোধীদের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ। বালুরঘাটের গণনা কেন্দ্রে রাতভর পাহারাদার হিসেবে বিজেপি কর্মীদের পাশে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আর এবার সেই বিডিও যে তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছেন, তা তার একটি উক্তি তুলে ধরে জনসাধারণের কাছে ফাঁস করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়! তৃণমূলের হয়ে যদি প্রশাসন এভাবেই কাজ করে যায়, তাহলে তৃণমূলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যাপারে অভিযোগ ওঠে, তাহলে কি প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করা যাবে না? আর অভিযোগ করলেও কি তারা আদৌ শাস্তি পাবে!

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সবটাই তৃণমূলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আজকে সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিজেদের গায়ে তৃণমূলের ছাপ মেরে নিচ্ছেন। কে সব থেকে বড় তৃণমূল নেতা, তা প্রমাণ করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে বিরোধীরা এখন এই সমস্ত কিছু বললেও তা কাকস্য পরিবেদনা হিসেবেই সরকারের কাছে গণ্য হবে। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং প্রশাসনের মেরুদন্ড সচল রাখতে এই ব্যবস্থা থেকে বেরোনোর একমাত্র উপায় লাগাতার প্রতিবাদ বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!