এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা! মমতার চালাকি ধরে ফেললো হাইকোর্ট! তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা! মমতার চালাকি ধরে ফেললো হাইকোর্ট! তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূলে থাকার সময় যে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একটিও মামলা ছিল না, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর দিন থেকেই এখনও পর্যন্ত সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা 27 টি। ইতিমধ্যেই তিনি আদালতের পক্ষ থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার বা শাসক দল কোনোমতেই তাকে ছাড়ার পাত্র নয়। যেভাবেই হোক, মামলা দিয়ে আটকাতে হবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতেই যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা কি ধরে ফেললো কলকাতা হাইকোর্ট! স্পষ্ট হয়ে গেল যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করেই জব্দ করা হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে! কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার শুনানি শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেখানেই রাজ্যের উদ্দেশ্যে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যখন আপনাদের সঙ্গে ছিল, তখন কি কোনো অপরাধ করেননি! দলবদলের পরেই অপরাধের সংখ্যা বেড়ে গেল!” অনেকে বলছেন, একেবারে মোক্ষম জায়গায় ঘা দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি ধরে ফেলেছেন রাজ্য সরকারের এবং শাসকদলের চালাকি। তবে এদিন এই মামলা নিয়ে আলোচনা হলেও, আগামী 13 সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে ধার্য করা হয়েছে।

বিরোধীদের দাবি, বিচারপতির এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রাজ্য সরকার শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এইসব মামলা করেছে। কেননা এই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় বহু অপরাধ করেছে বলে এখন দাবি করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু সেই সময় তারা কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। তাই এখন বিরোধীদলে নাম লেখানোর সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে কাবু হয়ে তাকে চাপে রাখতে মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেই চলেছে রাজ্য। তবে এসবের কাছে যে মাথা নত করবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই আইন আইনের পথে চলবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর চাপে আরও কাবু হয়ে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তিনি যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গেলেই পুলিশ দিয়ে তাকে বাধাদান করা হয়। আর এক্ষেত্রে শুভেন্দুবাবুকে আটকাতে রাজ্যের সর্বশেষ অস্ত্র মামলা। তাই সেই মামলা দিয়ে তাকে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা কম করা হয়নি। তবে শুভেন্দুবাবুও ছাড়বার পাত্র নন। তবে সত্য চিরকাল চাপা থাকে না। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে যে মামলা দিয়ে চাপে রাখার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, তা ইঙ্গিত হলেও বুঝিয়ে দিলেন স্বয়ং বিচারপতি।তবে শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় কি রায় হবে, তা সময় বলবে। তবে বিচারপতির এদিনের মন্তব্য যে বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং সেই ঘটনায় যে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে গেলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!