এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > লাভপুর হত্যা মামলায় ফের বড়সড় বিপাকে মনিরুল ইসলাম, জেনে নিন

লাভপুর হত্যা মামলায় ফের বড়সড় বিপাকে মনিরুল ইসলাম, জেনে নিন


ফের লাভপুর হত্যা মামলা চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। ন বছর আগে খারিজ হয়ে যাওয়া লাভপুর হত্যামামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফিরিয়ে আনা হলো ন বছর আগের তদন্তকারী অফিসারকে। কার্যত কবর খুঁড়ে বার করা হলো এই মামলাকে।

বস্তুত এই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়তে চলেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমিতা মিত্রের বেঞ্চ। পাশাপাশি এই মামলার সাক্ষীদের তথা মামলাকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প 2018 অনুযায়ী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন লাভপুর মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি মধুমিতা মিত্র আদালতে জানান, ‘যেভাবে মামলা তদন্ত হয়েছে তাতে তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে প্রবল চাপ, হুমকি এবং আশঙ্কার মধ্যে মামলাকারী এবং তার পরিবার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মনিরুল ইসলামসহ তার সহযোগীদের নির্দোষ বলেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আদালতে কাজ সত্যি খুঁজে বার করা।’

উল্লেখ্য 2010 সালের 3 রা জুন লাভপুরে খুন হন তিন ভাই ধানুশ শেখ, কাটুন শেখ এবং তুরুক শেখ। বলা হয় সেসময় শ্লীলতাহানি ও লুটপাট ও চলে। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মনিরুল ইসলামকে দায়ী করা হয় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে। এই ঘটনায় মনিরুলসহ 54 জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয় এবং মনিরুল গ্রেফতার হন। প্রাথমিক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেও নিম্ন আদালতে প্রমাণাভাবে মনিরুল ইসলাম ছাড়া পান। 2015 সালে পুনরায় নিম্ন আদালতে লাভপুর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দাবি তুলে আবেদন করা হলে নিম্ন আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মৃতদের পরিবার হাইকোর্টে মামলা করে। বর্তমানে এই মামলায় উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেসময় নিম্ন আদালতের যে রায় খারিজ হয়ে যায় সাক্ষ্যদানের অভাবে, সেটির আসল কারণ হলো সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে তদন্তে বাধা দেওয়া হয়। তদন্তকারী অফিসারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এদিন সরকারি আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘এই তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং কলঙ্কিত।’

উল্লেখ‍্য, যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল মনিরুল ইসলাম ছিলেন তখন ফরওয়ার্ড ব্লক এর সদস্য। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটেছে। মনিরুল ইসলাম যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। আর এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে অনেকে বলেন তিনি চাপে পরে বিজেপি ছেড়েছেন , নাহলে বিজেপি তাঁকে বহিস্কৃত করেছে। কিন্তু কোনোটারই সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি বিজেপির সদস্য। তবে এই ঘটনায় বর্তমানে মনিরুল ইসলাম যে যথেষ্টই চাপে পড়বেন তা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!