এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলে বসেই বড় পদক্ষেপ পার্থর, এবার কি বিপদে পড়তে চলেছেন মমতা! তুঙ্গে জল্পনা!

জেলে বসেই বড় পদক্ষেপ পার্থর, এবার কি বিপদে পড়তে চলেছেন মমতা! তুঙ্গে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রায় এক বছরের মত সময় হতে চলল, জেলেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যখনই সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছেন, তখনই তিনি বলেছেন, এক বছরের বেশি জেলে আটকে রয়েছি। সুবিচারের প্রার্থনায় বসে আছি। আর এবার জেল থেকে ছাড়া পেতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী! ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নিজের জামিনের ব্যাপারে আবেদন করেছেন পার্থবাবু। আর যদি পার্থবাবুর এই আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়, তাহলে আগামী দিনে বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসছে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী 9 সেপ্টেম্বর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এই মামলার শুনানি হবে। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী। আর তারপরেই কিছুটা হলেও হালে পানি পেয়েছেন পার্থবাবু। যার কারণে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেন তিনি। তবে তার এই আবেদন যদি মঞ্জুর হয়ে যায়, তাহলে কি চিন্তা বাড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

একাংশ বলছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। যে দল তার মন, তার প্রাণ ছিল, সেই দল তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতো সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি তাকে নিয়ে বর্তমানে দলের কেউ ভাবিতও নয়। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, তিনি দলের সঙ্গে আছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রাখছেন। তবে দলের কেউ সেভাবে তার খোঁজ খবর না নেওয়ার কারণে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে বিশেষ সূত্র মারফত খবর। যার জেরে যদি জামিন পেয়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাহলে বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন, যা তৃণমূলের কাছে খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলে কার্যত দম বন্ধকর অবস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তার গ্রেফতারি অনেকটাই ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। একাধিক বার তাকে চোর, চোর স্লোগান শুনতে হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তিনি জেলে বসে অনেক বার আফসোস করেছেন, রাজনীতিতে আসার জন্য‌। যার জেরে শেষমেষ জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের পার্থবাবুর আবেদন মঞ্জুর হয় কিনা, সেটাই নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!