এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ঝালদায় ফুটল ঘাসফুল! দলবদলে ভাঙলো কংগ্রেস, নেতাদের মুখ শুকিয়ে আমসত্ত্ব!

ঝালদায় ফুটল ঘাসফুল! দলবদলে ভাঙলো কংগ্রেস, নেতাদের মুখ শুকিয়ে আমসত্ত্ব!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ইন্ডিয়া জোটে একসাথে রয়েছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। তবে বাংলায় সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই কিভাবে হবে, তা নিয়ে রণকৌশল স্থির করতে পারছিল না বিধান ভবন। আর এর মধ্যেই কংগ্রেসকে ভেঙে চৌচির করে দিল তৃণমূল। রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিরোধীদের দখলে থাকা একটি পৌরসভাতেও ফুটে গেল ঘাসফুল। যেখানে কংগ্রেসের দখলে থাকা ঝালদা পৌরসভাতে কংগ্রেস এবং নির্দল কাউন্সিলররা যোগ দিলেন তৃণমূলে। যার কারণে এবার সেই পৌরসভাও চলে গেল তৃণমূলে দখলে। ফলে ইন্ডিয়া জোটের কারণে এবার কংগ্রেসের নেতারা না পারছেন কিছু বলতে, না পারছেন প্রতিবাদ করতে।

সূত্রের খবর, এদিন ঝালদা পৌরসভার চার কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ নির্দল কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যার ফলে ঝালদা পৌরসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হলো 10। অন্যদিকে যে কংগ্রেস এই ঝালদা পৌরসভায় ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের সংখ্যা নেমে গেল 2 টিতে। ফলে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিরোধীদের দখলে থাকা, বলা ভালো কংগ্রেসের দখলে থাকা একমাত্র পৌরসভাও নিজেদের দখলে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশের প্রশ্ন, এবার বিধান ভবনের কংগ্রেস নেতারা কি করবেন! তারা কি পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে দেবেন! এই ঝালদা পৌরসভা নিজেদের হাতে রাখতে কম চেষ্টা করেনি কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও যেভাবে থাবা মেরে ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের থাকাটা বাংলায় আরও কাল হয়ে দাঁড়ালো না তো? এই প্রশ্ন অনেক কংগ্রেস নেতা আড়ালে আবডালে করতে শুরু করেছেন। অনেকে বলছেন, কয়েকদিন পর খুব করুণ দৃশ্য দেখতে হবে বঙ্গ কংগ্রেসকে।

কেননা এই বাংলায় যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা হিসেবে প্রতিবাদ করেন, তারা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের বিরোধী প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেবেন। কেননা এভাবে কোনোমতেই কংগ্রেস করতে পারবেন না তৃণমূল বিরোধী নেতারা। দিল্লিতে তাদের সর্বভারতীয় নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক টেবিলে বসে বিজেপির বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন, আর বাংলায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা কংগ্রেস নেতাদের ওপর অত্যাচার করবেন, তা হয়তো অনেক কংগ্রেসীরাই মেনে নিতে পারবেন না।

স্বভাবতই ঝালদা পৌরসভার এই ক্ষমতা পরিবর্তনের ফলে কংগ্রেস বাংলায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে রীতিমতো পড়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ঝালদা পৌরসভা তৃণমূল দখল করার পর প্রবল ফাঁপরে পড়া প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী এই ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া দেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!