এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু অধিকারী “হানা” দেওয়ার আগেই নিজের খাসতালুক নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ দিলীপ ঘোষের

শুভেন্দু অধিকারী “হানা” দেওয়ার আগেই নিজের খাসতালুক নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ দিলীপ ঘোষের


রাজনীতিতে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই না হলে ঠিক জমে না। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে সেই সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হতেই দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য রাজনীতিতে যে একটা বড় মুখ, সেই ব্যাপারে বলার অপেক্ষা রাখে না।

অপরদিকে রাজ্যে বিজেপির ক্রমশ উত্থানের জন্য যে ব্যক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর এবার তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী বনাম দিলীপ ঘোষের লড়াই যেন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করল। জানা গেছে, রেলের বিরুদ্ধে বঞ্চনা এবং অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আগামী 27 তারিখ ডিআরএম অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে জোর প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি জায়গা থেকে সেদিন যাতে বিপুলসংখ্যক কর্মী সমর্থককে নিয়ে যাওয়া হয়, তার জন্য প্রচার প্রক্রিয়াও চালাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। আর যে জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী এই আন্দোলন করছেন রেলের বিরুদ্ধে, তা আদতে দিলীপ ঘোষের গড় বলে পরিচিত খড়গপুর।

জানা গেছে, রবিবারে খড়্গপুরে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দু বাবু খড়্গপুরে আসবেন, আর তিনি তাকে ময়দান ছেড়ে দেবেন, তা তো হতে পারে না। আর তাই এবার রবিবার সকালেই রাস্তায় নেমে রীতিমতো জনসংযোগ করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে কেশিয়াড়ি যাওয়ার আগে দুপুরে খড়গপুর শহরের অফিসে কিছুক্ষণ বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারীর এই আন্দোলন প্রসঙ্গে দীলিপবাবু বলেন, “কি দাবিতে উনি ডিআরএম অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছেন জানি না। বিধানসভা উপনির্বাচন হয়ত তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আন্দোলনের চেষ্টা। রেলের কিছু কাজ হওয়া দরকার। তাই আমরা এখন আন্দোলনের কথা ভাবছি না। আমাদের আমলে ঠিক কি কাজ হয়েছে, তা মানুষ দেখছেন। তবে আরও কিছু কাজ হওয়া দরকার।”

অন্যদিকে এদিন দিলীপ ঘোষ একশ্রেণীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “একশ্রেণীর আধিকারিকের অসহযোগিতার জন্য অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বিশেষ করে রেলের জায়গায় যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের একটি দল মাঝেমধ্যেই ডিআরএমএর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।”

অন্যদিকে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের দামামা বাজলে রাজ্যে সেই নির্বাচনগুলোতে যে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের আবহাওয়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কি বিজেপির অসুবিধে হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কংগ্রেস কখন কার সঙ্গে থাকবে, তারা নিজেও জানে না। আগামী বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস – তৃণমূল জোট হবে কিনা, মানুষ সেটা জানতে চান।”

তবে দিলীপবাবু এদিন খড়্গপুরে এসে জনসংযোগ এবং রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন সম্ভাবনাময় বিষয় নিয়ে আলোকপাত করলেও তৃনমূলের শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলনকে খুব একটা গুরুত্ব না দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, একই দিনে একে অপরের বিরোধী দুই নেতা একই শহরে থাকায় এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি করায় খড়গপুর শহর এখন প্রবল উত্তেজনার চাদরে মুড়ে গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!