এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > স্বাধীনতা দিবসেই করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে বড়সড় সুখবর শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

স্বাধীনতা দিবসেই করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে বড়সড় সুখবর শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতবর্ষে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রচলিত মাস্ক, গ্লাভস পরিধান কিংবা স্যানিটাইজার অথবা সামাজিক দূরত্ব কিংবা লকডাউন কোনোটিই করোনা প্রতিরোধে তেমন জোরদার উপায় বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে না। এই পরিস্থিতির মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ করোনার উপযুক্ত ভ্যাকসিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষার পথ চেয়ে বসে আছেন। ইতিপূর্বে এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিনে করোনা ভ্যাকসিন এর কথা ঘোষণা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনকথা শোনা গিয়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তাই প্রত্যাশা মতোই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের দিকে দৃষ্টি ছিল সকল ভারতবাসীর।

তবে আজকের দিনের স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত তম অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন তাতে দেশবাসীর সে প্রত্যাশা পূরণ হলো না ঠিকই। তবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হতাশও হলেন না দেশবাসী। কারণ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ঘোষণা করেছেন এই সময়ে ভারতে করোনা রোগের তিনটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালের স্তরে অবস্থান করছে। বিজ্ঞানীরা এই ভাক্সিনগুলির বিষয়ে কোন সদর্থক বার্তা দিলেই সকল ভারতবাসীর কাছে এগুলি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়াহবে। এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী জানালেন, করোনা সংকট ভারতকে আত্মনির্ভর হয়ে চলার পথে পথে কোন প্রতিবন্ধকতা আন্তে সক্ষম হবে না। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, করোনা বিপত্তি যে অনেক বড় তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তা ততো বড় নয় যে তা ভারতবর্ষের আত্মনির্ভর হবার সংকল্পকে চূর্ণ করে দেবার ক্ষমতা রাখে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, ভারতের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট রকম ভয়াবহ। সম্প্রতি দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই লালকেল্লাতে স্বাধীনতা দিবসের ভাষনে প্রধানমন্ত্রী করোনা সম্পর্কে দেশবাসীকে কোন বার্তা দিতে চলেছেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশবাসী। প্রসঙ্গত করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা শোনালেন, তা কিন্তু যথেষ্ট আশাপ্রদ। কারণ, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বুঝিয়ে দিতে পারলেন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি এখন অল্প সময়ের অপেক্ষা, একবারই করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলেই ব্যাপকহারে এটি দেশের মাটিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।সেইসঙ্গে এটি দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছে। প্রধানমন্ত্রীর জবানিতেই আমরা বিষয়টি একবার শুনে নিতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”দেশে এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিন টেস্টিংয়ের আলাদা আলাদা পর্যায়ে আছে। বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত পেলেই বিপুল হারে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও প্রস্তুত করে ফেলেছে সরকার।”

প্রসঙ্গত এর মধ্যেই ভারতের সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনেপ্রথম তার পর্যায়ের ট্রায়ালের সম্পূর্ণভাবে সফল হবার মুখে।আর এর সঙ্গে সঙ্গেই অক্সফোর্ড ও জাইদাস এ তৈরী করোনা প্রতিরোধক ক্যাডিলার ভ্যাকসিন অতিদ্রুতই মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করতে চলেছে। আর এই ভ্যাকসিন গুলো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আশাবাদী যা তার বক্তব্যে ধরা পড়েছে।

অন্যদিকে করোনা মহামারী যে দেশবাসীকে ভয় ও আতঙ্কের পরিমণ্ডলে নিয়ে গেছে, একথাও প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমনের কারণে সামাজিক দূরত্বের বিধি বলবৎ থাকার কারণে, এ বছর লালকেল্লায় স্কুলপড়ুয়া শিশুদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। স্কুলের শিশুদের এই অনুপস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে যথেষ্ট হয়ে ব্যথিত করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি আমার সামনে আজ ছোট ছোট শিশুদের দেখতে পাচ্ছি না। করোনা সবাইকে থামিয়ে দিয়েছে। এই কঠিন সময়ে করোনা যোদ্ধারা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেবাই পরম ধর্ম। আমি করোনা যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!