পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল হয়ে নয় – পার্টির কাজ পার্টিকেই করতে হবে: কর্মীসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী মেদিনীপুর রাজ্য December 9, 2018 লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করার কাজে নেমে পড়েছে শাসকদল। বিরোধীদের রোখার পথ বাতলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে তুলে ধরা হচ্ছে সংগঠনের আভ্যন্তরীন দোষত্রুটিগুলোকে। দলীয় সাংগঠনিক গলদ উপসমে রাজ্য নেতৃত্বরা কড়া হাতে লাগাম ধরে রেখেছেন। কীভাবে, কোন কোন কাজ করলে তৃনমূল সরকারের ভাবমূর্তি আরো স্বচ্ছভাবে রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরা যাবে সেগুলোই জেলাস্তরের নেতা-কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। আর বছর ঘুরতেই রয়েছে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। সেই সমাবেশের প্রস্তুতি র কথা মাথায় রেখে জনসংযোগ কর্মসূচীতে আরো বেশ করে গুরুত্ব দিচ্ছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন মেদিনীপুরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি হলে বিগ্রেড সমাবেশে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার এক বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, শুভেন্দুবাবু স্পষ্ট জানান, আপনারা অনেক বেশি পুলিস প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছিলেন। পার্টির কাজ পার্টিকেই করতে হবে। । শুধু পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস, যুব দিবস, ছাত্র দিবস, কৃষিমেলা, বইমেলা, প্রাণিসম্পদ, কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না,কীকরে দলীয় সংগঠন আরো মজবুত হয় সেদিক নজর দিতে হবে। বিরোধী সংগঠন শক্তির দিক থেকে যাতে তৃণমূলকে ছাপিয়ে যেতে না পারে তার জন্যে দলের নেতাদের জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। বললেন, ‘মানুষের কাছে না গেল দলের ভোট ধরতে পারবেন না। আঞ্চলিক নেতাদের কথায় ভোট হয় না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেয়, এটা ঠিক। আমরা ইন্ডোর মিটিং, ক্লোজ ডোর মিটিং, রণকৌশল ঠিক করব। কিন্তু, অনেক বেশি দরকার আছে, পায়ে হেঁটে গ্রাম গঞ্জে সম্মেলন, পাড়া সভা, বুথ সভা, গ্রাম সংসদ সভা করা।’ পাশাপাশি আরো জানালেন, কিছু এলাকা বাদ দিয়ে দলের বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো। ভোট পাওয়া তো দূরের কথা, ৫০% আসনে বিরোধীরা প্রার্থীই জোগার করতে পারবে না, এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পরিবহন মন্ত্রী। এদিন বিগ্রেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ার বার্তা দিলেন। মনে করিয়ে দিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি তাঁদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ কারণ দলই তাঁদের প্রধান, সভাপতি, বিধায়ক-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করেছে। তাই ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে দলীয় স্বার্থরক্ষাই তাঁদের একমাত্র পাখির চোখ হওয়া উচিৎ। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আগামী লোকসভা ভোটের জন্য প্রতিদানে অন্তত দু’টি সিট জেতানোর জন্যে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিলেন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আগামী ২৩ ডিসেম্বর তিনি কেশিয়াড়িতে সভা করতে আসবেন এমনটাও আগাম জানিয়ে দিলেন এদিনের সভায়। সেদিনের সভায় বুথের সভাপতি ও পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীদের সেখানে হাজির থাকতে বলে দিলেন মন্ত্রী। কেশিয়াড়ির সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ফোন বন্ধ করে ঘন্টা দেড়েকের আলোচনায় থাকতে হবে এমনটা জানিয়ে দিলেন তিনি। আলোচনায় প্রসঙ্গে উঠে এল খড়গপুর। জানালেন সঙ্ঘবদ্ধভাবে এগোলে খড়গপুর নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মেদিনীপুর সদর ব্লক, শালবনীর দু-একটা জায়গা একটু ভালো করে দেখলেই সমস্যা মিটে যাবে। গোয়ালতোড়ের দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা একসময় দূর্বল থাকলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে বলেই দাবী শুভেন্দুবাবুর। মোদ্দাকথা হল, তৃণমূল সাংগঠনিক শক্তিতে আগামী লোকসভা ভোটে বিরোধীদের প্রকৃত অবস্থান বুঝিয়ে দেবে। সিপিএমের হার্মাদরা যতোই জামা বদলে বিজেপিতে যোগ দিক না কেন সঙ্ঘবদ্ধতায় তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারবে না। এমনটাই হুঁসিয়ারী দিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি জানান, সমস্ত ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের হাতে হাত মিলিয়ে এখন কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তৃণমূল যে কতোটা শক্তিশালী দল সেটা লোকসভা ভোটের আগে বিগ্রেড সমাবেশেই বুঝিয়ে দিতে হবে বিরোধীদের। এরপর কর্মীদের উদ্দেশ্য বার্তা দিয়ে বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য থেকে না সরে দলের সংগঠনকে আরো মজবুত করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়ার কড়া বার্তা দিলেন সুব্রতবাবু। এদিনের সভায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সংসদ সদস্য মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা সহ একাধিক বিধায়ক ও দলের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কলকাতার একটি বহুল জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম থেকে এক খবর জানা গেলেও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -