এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃনমূলের বাইক মিছিল বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙতেই উত্তাল উত্তরবঙ্গ, পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ

তৃনমূলের বাইক মিছিল বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙতেই উত্তাল উত্তরবঙ্গ, পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ

এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং থেকে শুরু করে মালদহ পর্যন্ত আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটিতেও জয়যুক্ত হতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। সেখানে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে জয়যুক্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাই বিজেপির কাছে সাংগঠনিক দিক থেকে নিজেদের ক্ষমতা আরও বাড়াতে দলের নেতৃত্ব রাজি চেষ্টা করবে, তাই নিয়ে কোনো সংশয় নেই বিশ্লেষকদের মনে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে একসময় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এবং পরবর্তীতে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নির্বাচনের সময়কালের বচসার নজরদারি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই রীতিমতো হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।

নিশীথবাবু এবং রবিবাবুর বচসার পরবর্তীতে নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয় যুক্ত হন নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু এর পর থেকেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল বনাম ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা।

আর এবার বুধবার সকালে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ 1 নম্বর ব্লকের চিড়িয়াখানায় তৃণমূল কংগ্রেসের বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল- বিজেপি রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এলাকা। একদিকে যেমন তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি কর্মীসমর্থকরা তাদের বাইক মিছিলে হামলা করেছে, অন্যদিকে তেমনই ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূলের ওই বাইক মিছিল বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। যার কারণে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এরপরই ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে 30 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় বলে খবর। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে সেই অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশের মধ্যস্থতায় ব্যবসায়ী এবং বিজেপি কর্মীরা অবরোধ তুলে নিলেও সম্মিলিতভাবে মিছিল শুরু করে দেন তারা।

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ, সেই মিছিলেও বেশ কয়েকজন হামলা চালায়। তারপরই উত্তেজনা আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরবর্তীতে আবারও তুফানগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত মিছিলের কর্মীসমর্থকরা পুলিশকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষোভকারীদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের তরফ থেকে লাঠিচার্জ করা হয় বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে। এখন সমগ্র পরিস্থিতি যথেষ্ট স্পর্শকাতর বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। চিড়িয়াখানা বাজার এলাকায় যেন নতুন করে আর কোনো রকম অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য এলাকায় রীতিমতো টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

কিন্তু যেভাবে কোচবিহার জেলায় মুহুমুহু তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে, তাতে করে গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত চিন্তার বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি গন্ডগোল সামাল দিতে না পারার জন্য কিছুটা প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। এখন সমগ্র পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে গড়ায়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!