ফের তৃণমূলের ঘর ভাঙল বিজেপি, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বড় সংখ্যক যোগদান রাজ্য November 21, 2018 লোকসভা ভোটের আগে ফের শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় সংখ্যক কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিল এদিন। পঞ্চায়েতের নির্বাচন পর্ব থেকেই যেন এই দলবদলের খেলা শুরু হয়েছে। সে খেলা লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি লগ্নে সমানভাবে অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিজেপির সভামঞ্চ থেকে মশাটের একসময়ের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা শেখ আবদুল্লা সহ হাজার দুয়েক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। আর তৃণমূলও সাদরে আপ্যায়ণ করে নেয় নতুন দলীয় কর্মীদের। এদিন সভামঞ্চ থেকেই বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ছড়া কেটে শাসকদলকে ব্যাঙ্গ করে বলেন,”সামনে থাকবে পদ্মফুল। আর ফলো করবে তৃণমূল।” শুধু তাই নয়,শাসকদলের বিরুদ্ধে হুঁসিয়ারী দিয়ে বলেন,তৃণমূল রথযাত্রা আটকাতে এলেই রথের চাকার পিষে মরতে হবে। লেকেটের বক্তব্যকে আবার সমর্থন করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ডিসেম্বরে বিজেপির রথযাত্রায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলায় জেলায় সভা করে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বরা। তৃণমূল সরকারের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরার পাশাপাশি সমানতালে চলছে দলীয় প্রচার কর্মসূচী। এদিন এমনই এক জনসভায় দলে দলে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা কর্মীরা গেরুয়াশিবিরে যোগ দেন। রথযাত্রার আগেই এটা বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন দিলীপ বাবু। বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে,রাজ্যবাসী বুঝতে পারছে এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসা কতোটা প্রয়োজন! এই সভায় রথযাত্রার তারিখ পেছানো প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হল। জানতে চাওয়া হল,তৃণমূলের ভয়েই কি বিজেপি রথযাত্রার দিনক্ষণ পরিবর্তন করল কি না। সে প্রশ্নের জবাবে গর্জে উঠে দিলীপ বাবু জানালেন, সময় বলে দেবে কে ভয় পেয়েছে! বিজেপি যদি ভয় পেতো তাহলে তৃণমূলের বুকে পা দিয়ে সভা করতে পারতো না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বললেন,”আমরা বলছি যা করার করে নিন। ভয় কে পেয়েছে বোঝা যাচ্ছে। যারা বলছিল রথের চাকা ভেঙে দেব, তারাই BJP-র রথের পিছনে যাত্রা করবে। ভাষা শুনেই বোঝা যাচ্ছে কারা ভয় পেয়েছে। অনু-পরমানু দিয়ে BJP-কে আটকানো যায় না।” সঙ্গে জুড়ে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রথযাত্রা পেছানোর সঠিক কারণটি। বললেন,সবটাই জাতীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই হয়েছে। তিনটি রথযাত্রা উদ্বোধন করার পরিকল্পনা নিয়েই তারিখ পিছিয়েছেন তিনি। পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচারমূলক কর্মসূচির জন্যে রথযাত্রার দিনক্ষণ পেছানো হয়েছে। প্রসঙ্গত,তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে তোপ দেগে বিজেপি-মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বললেন,মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ফতোয়া জারি করে দলের বিক্ষুদ্ধদের ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। এমনকি এ কাজে তিনি সরাসরি ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেত্রী। বললেন,যারা তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়েছেন,তাঁরা স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন। তাঁদের আর কোনোভাবেই দলে ফিরিয়ে আনতে পারবে না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছিলেন,যাদের তৃণমূল করার দরকার নেই,তাঁরা যেন দল থেকে বেরিয়ে যান। তাহলে সেই দলত্যাগী কর্মীদের কথা লোকসভা ভোটের আগে কেন মনে পড়ছে নেত্রীর? ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে। আসলে তৃণমূল সুপ্রিমো দ্বিচারিতায় বিশ্বাসী। এক মুখেই দুই রকম কথা বলেন। ভোল পাল্টাতে সময় নেন না তিনি। ভোট আসলে একরকম মূর্তিধারণ করেন আবার ভোট চলে গেলে তিনি পাল্টে যান,এমনভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন বিজেপি-মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। তৃণমূলের তরফ থেকে এর প্রতিক্রিয়া না এলেও সঠিক সময়ে শাসকদল বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেবে এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -