লকডাউনে কার্যত শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা! শিক্ষার আলো তুলে ধরতে প্রত্যন্ত গ্রামে RSS-এর পদক্ষেপ! জাতীয় রাজনীতি August 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব ক্ষেত্রই যেন সমস্যার আস্তিনে ছেয়ে গেছে। সেই ছায়া থেকে বাদ যাননি শিক্ষা ক্ষেত্রও। করোনা হয়েছে বলে বাড়ি বসে থেকে সময় নষ্ট করার মত পরিস্থিতি নেই। তাই কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইনেই সব চলছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সবই হচ্ছে তরতরিয়ে। তবে আপনি ভাবছেন তো ভাগ্যি সব হচ্ছে সময়মত তাই রক্ষে। কিন্তু দেশেরই যে কত ছেলেমেয়ে কত মুশকিলের মধ্যে রয়েছে তা কল্পনারও অতীত। তবে সেই মুশকিল আসান করতে এবার মাঠে নামতে দেখা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা RSS-কে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি একটি ভারতীয় ডানপন্থী হিন্দুজাতীয়তাবাদী , আধাসামরিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। এটি ভারতের নাগপুর শহরের চিকিৎসক কেশব বলিরাম হেজেগোয়ার দ্বারা ১৯২৫ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৫ মিলিয়নেরও বেশি। বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক কাজের সঙ্গে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ লকডাউনের সময় সমগ্র ভারতে মাস্ক, সাবান এবং খাবার সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করে সাহায্য করেছিল বলে জানা যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেক পড়ুয়াই অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালাচ্ছেন। কিন্তু, মধ্যপ্রদেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রীর কাছে স্মার্ট ফোন না থাকায় তার অনলাইন ক্লাস করতে পারছেন না। ফলে তাদের সমস্যা দূর করতে তাই ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ুয়াদের সাহায্য করার কথা ভেবেছেন তারা। আর সেই জন্যই বিভিন্ন জায়গায় বালগোকুলাম সেন্টার নামে স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছে। যেখানে পড়ানোর ক্ষেত্রে বইয়ের পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এখানে তিন ঘণ্টা করে ক্লাস নিচ্ছেন এই সংগঠনের হাজারেরও বেশি স্বয়ংসেবক। মধ্যপ্রদেশের গ্রামগুলিতে নাকি কমপক্ষে এমন ৬০০টি স্টাডি সেন্টার খোলা হয়েছে।তথ্য সূত্র জানা গেছে যে, ওই স্টাডি সেন্টারগুলিতে নাকি পড়ুয়াদের পড়াশোনার বিষয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি সংঘের আদর্শের সম্পর্কেও পাঠ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের যেমন শিক্ষা তারা পাচ্ছে, সেইসঙ্গে দেশপ্রেমের পাঠও দেওয়া হচ্ছে তাদের। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই যে সমস্ত পড়ুয়ারা আর্থিক অভাবের কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না, তাদের মধ্যে এই স্টাডি সেন্টারগুলিতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলেই তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে। আপনার মতামত জানান -