এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবার স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন অনুব্রতর! বিরোধীদের জন্য দিলেন বিশেষ ‘ওষুধের’ নিদান! শুরু বিতর্ক

আবার স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন অনুব্রতর! বিরোধীদের জন্য দিলেন বিশেষ ‘ওষুধের’ নিদান! শুরু বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসতে না আসতেই ফের স্বমহিমায় দেখা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু হঠাৎ কেন এইরকম নির্দেশ দিতে দেখা গেল তাকে? সূত্রের খবর, বুধবার ময়ুরেশ্বর 1 ব্লকের মল্লারপুরে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভা চলছিল।

আর সেখানেই বেশকিছু তৃণমূল কর্মী অনুব্রত মন্ডলের কাছে অভিযোগ করেন যে, বিজেপি কর্মীরা তাদের দলের পতাকা খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর এর পরেই সেই সমস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিতে গিয়ে রীতিমত বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “হাত পা নেই নাকি তোদের? নুঙ্গো হয়ে গেছিস নাকি! বেরিয়ে পা গুলো ভেঙ্গে দিলি না! ইয়ার্কি বটে নাকি! কাজ নেই, কাম নেই। ফ্ল্যাগগুলো খুলে নিয়ে চলে যাবে আর তোরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবি! এই শোন, আমি মুখে যা বলতে পারি, কাজ কিন্তু বন্ধ রাখবি না। না হলে ছাড়ব না কিন্তু বলে রাখলাম।”

আর কর্মীদের মুখ থেকে দলের পতাকা বিজেপি পতাকা খুলে নিচ্ছে, একথা শোনা মাত্রই অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে কর্মীদের বিজেপির প্রতি পরোক্ষে হামলা করার নির্দেশ দিলেন, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য বাড়ছে। তিনি তো একজন রাজনৈতিক নেতা। সেক্ষেত্রে কর্মীদের তিনি রাজনৈতিক শিক্ষা দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা না করে যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির হাত পা ভেঙে দেওয়ার কথা বললেন, তাতে জনমানসে তার ভাবমূর্তি আরও খারাপ হল বলেই দাবি করছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একজন জেলা সভাপতি হয়ে তিনি যদি কর্মীদের এই ধরনের নির্দেশ দেয় এবং কর্মীরা যদি তার পরিপ্রেক্ষিতে নেতার সেই নির্দেশকে মান্যতা দেয়, তাহলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ যেমন বাড়বে, তেমনই বিধানসভা ভোটের আগে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে কি কোনো একজন রাজনৈতিক কর্মীর কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে তার দায় নেবেন অনুব্রত মণ্ডল! এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “উনি বিজেপি কর্মীদের পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেবেন, আর বিজেপি কর্মীরা বসে বসে দেখবে! উনি যদি বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেন, তাহলে ওনার হাত পা কে ঠিক রাখবে!” স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের পর বিজেপি নেতাও যেভাবে পাল্টা মন্তব্য করলেন তাতে বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সামনে নির্বাচনের আগে যদি এভাবে রাজনৈতিক নেতারা তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সংঘর্ষের কথা বারে বারে তুলে আনেন এবং বদলার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেন, তাহলে বাংলার মানুষ কাদের উপর ভরসা রাখবেন, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমত বিজেপিকে হাত, পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর তার এই মন্তব্যে এখন তৃণমূল যে ব্যাপক ভাবে চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!