মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝেই ঠিক হয়ে গেল তৃণমূল প্রার্থী, জোর চাঞ্চল্য উত্তরবঙ্গে! উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য March 5, 2020 নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন মালদা জেলার কথা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পারফরমেন্সে যে তিনি একেবারেই সন্তুষ্ট নন, তা বারেবারে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি জেলায় গিয়ে তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলার গর্ব মমতা মঞ্চ থেকে। আশা করা হয়েছিল, নেত্রী হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এবং মালদা জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার পর সেখানকার সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। কিন্তু অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই মালদহে শাসকদলের অন্তর্কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করল। এবার তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হবে অন্যভাবে। কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই একথা জানেন। তবে এবার তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার আগেই ইংলিশবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার নামে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পৌরসভা নির্বাচনে মালদহের ইংরেজবাজার পৌরসভার 23 নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে মামলা চলার কারণে তার প্রার্থীপদ খারিজ হয়ে যায়। আর এর ফলেই সেই ওয়ার্ডটি জনপ্রতিনিধি শুন্য হয়ে পড়লে, আইন অনুযায়ী তা দেখাশোনার দায়িত্ব আসে ইংলিশবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষের হাতে। কিন্তু এক্ষেত্রে নিহার বাবু এই অ্যাপটি তার ঘনিষ্ঠ সুজিত সাহার হাতে দিয়ে দেন। কিন্তু এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে সেই ওয়ার্ডে সুজিত সাহার নামে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন হওয়ায় রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রশান্ত কিশোরের টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৃণমূল প্রার্থী করবে বলে জানা যাচ্ছে, সেখানে কিভাবে একজন ব্যক্তির নামে তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের সময়ে দেওয়াল লিখন লেখা হল, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “দল দেখে তো ভোট হয় না। সব সময় মানুষ যা চায়, তাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।” এদিকে এই ব্যাপারে নিহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী এভাবে কোনো বহিরাগতকে দায়িত্ব দেওয়া যায় না। কে প্রার্থী হবে, তা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন আগেই তিনি বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরও যদি কোন নেতা ভাবেন যে, আমি দলকে মানি না, মুখ্যমন্ত্রীকে মানি না, তবে সেটা তার ভাবনা।” এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষনা না হওয়ার আগেই যেভাবে একটি ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখন হয়ে গেল, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে কাজ করতে হবে। দলের গাইড লাইনের বাইরে যাওয়া যাবে না।” সব মিলিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলে শৃঙ্খলা আনার কথা বললেও, যেভাবে তার সফরকালে মালদায় বিশৃংখল পরিস্থিতি দেখা গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আপনার মতামত জানান -