এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অভিষেকের বাড়াবাড়ি ফিনিশ? অ্যাকশন স্টার্ট দিল্লি পুলিশের! ঠ্যালা পাচ্ছে তৃণমূল!

অভিষেকের বাড়াবাড়ি ফিনিশ? অ্যাকশন স্টার্ট দিল্লি পুলিশের! ঠ্যালা পাচ্ছে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লির বুকে তৃণমূল সভা করেছে। সেই সভা থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে যা ইচ্ছে, তাই বলেছেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু সবকিছু সহ্য করে নিয়েছে বিজেপি। কারণ তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। তাই প্রশাসন তাদের হাতে থাকলেও, পুলিশি কোনো নির্যাতনের অভিযোগ তৃণমূল করতে পারেনি। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না পেরে তার দপ্তরে তৃণমূলের 40 জনের প্রতিনিধি দল বসে থেকে যে অসভ্যতা করেছে, তা আর মেনে নিতে পারলো না প্রশাসন। তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। যার কারণে সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দিতে অ্যাকশন স্টার্ট করে দিল দিল্লী পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের যারা সেই দপ্তরে গিয়েছিলেন, তাদের আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিন যন্তর মন্তরে সভা করার পর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও দেখা করছেন না। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে। আর শেষ পর্যন্ত বলা হয়েছে যে, মন্ত্রী আজকে দেখা করতে পারবেন না। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই দপ্তরে বসেই তাদের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত একটি সরকারি দপ্তরে এই ধরনের অসভ্যতা দেখে সেই তৃণমূল নেতাদের আটক করতে বাধ্য হয় পুলিশ বলে খবর। আর এখানেই অনেকে বলছেন, দিল্লি পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলায় হলে তো সভাটুকুই করতে দিত না তৃণমূলের সরকার। তারা আবার এখন দিল্লি প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

বিরোধীদের মতে, তৃণমূল যে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে, তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলায় একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। এটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের টাকা চাই। কারণ তারা তো তা না হলে দুর্নীতি করতে পারবে না। সেই টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাতে পারবে না। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের এই দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছেন বলেই হয়তো তাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত  দেখা করলেন না। আর তাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার টিমের গায়ে ছ্যাকা লেগেছে। তাই সরকারি দপ্তরের মধ্যেই তারা হট্টগোল করতে শুরু করেছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আর দিল্লী পুলিশ যে এক নয়, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। দিল্লির মত জায়গায় তৃণমূল সভা করেছে, সেই অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও যারা বাংলায় প্রতি মুহূর্তে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করে, তারা দিল্লিকেও পশ্চিমবঙ্গ ভেবে নিয়েছিলেন। যার কারণে প্রশাসন তৃণমূলের অসভ্যতা বন্ধ করতে তাদের নেতাদের আটক করতে বাধ্য হলো বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাহলে বিরোধী আন্দোলনের কি কষ্ট, কতটা চাপ, এবার অন্তত তার শেখা উচিত। তিনি তো ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের নেতা হয়েছেন। তৃনমূলকে ক্ষমতায় আনতে যারা রক্ত দিয়েছিলেন, যারা ঘাম ঝরিয়েছিলেন, তাদের মূল্য তিনি বুঝবেন কি করে? শুভেন্দু অধিকারী লড়াইটা করতে জানেন। আজকের দিনেও স্রোতের বিপক্ষে হেঁটে তৃণমূলের স্বেচ্ছাচারী পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছেন। ফলে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সুখের সংসারে ক্ষমতা পেয়ে ভাইপো আজকে দলের অনেক নেতাদের ওপর তিনি ছড়ি ঘোড়াতে শুরু করেছেন। তবে দিল্লিতে বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে, এবার পুলিশের হাতে আটক হতে হল বাংলার যুবরাজকে। যার ফলে তার যাবতীয় বীরত্ব কার্যত ফিনিশ হওয়ার পথে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!