শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোকে বিজেপির সংগঠনটাই ভেঙে পড়ার মুখে বিশেষ খবর রাজ্য December 31, 2017 মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকেই খবর আসছিল যে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন .কিন্তু গতকাল একসঙ্গে তিন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতা তৃণমূলের পতাকা হাতে নেওয়ায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। বিশেষ করে বিজেপি নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীর যোগদানের বড় দাম চোকাতে হতে পারে গেরুয়া শিবিরকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বার্নপুর থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন। ভোট হেরে গেলেও অত্যন্ত মিষ্টিভাষী হওয়ায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। এমনকি শিল্পাঞ্চলে রীতিমতো তাঁর আলাদা গোষ্ঠী গড়ে ওঠে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। কিন্তু, পরবর্তীকালে দলের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়, আর সে কারণেই তাঁর দলত্যাগ বলে জানা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, উনি আমাদের জেলার লোক নন ঠিকই, কিন্তু সংগঠনে কিছুটা হলেও প্রভাব তৈরি করেছিলেন। তাই তিনি চলে যাওয়ায় সাময়িকভাবে দল কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে। তবে, আশা করা যায় দেরিতে হলেও তা মেক আপ করা যাবে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্বের মত, দীপ্তাংশুবাবু শাসকদলে আসায় এক ধাক্কায় সংগঠন জোরদার হয়ে যাবে এমনটা নয়। কিন্তু বিজেপির অন্দরমহলের কোন্দল বাড়িয়ে দেওয়া যাবে, সেটাই আসল কথা। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মধ্যে বার্নপুর এলাকায় বিজেপির ভিত যথেষ্ট শক্তিশালী। এই বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় যে সমস্ত পঞ্চায়েত আছে সেখানেও গেরুয়া শিবিরের প্রভাব রয়েছে। সেই এলাকাতেই এবার বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ায় গেরুয়া শিবির অবশ্যই বিপাকে পড়বে। দীপ্তাংশুবাবুর তৃণমূলে আসার ফলে বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল আরও বেশি প্রকট হতে বাধ্য। ফলে এখানে শীর্ষনেতৃত্ত্বের মাস্টারস্ট্রোকে বিজেপির সংগঠনটাই ভেঙে পড়ার মুখে। আপনার মতামত জানান -