এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তেতে উঠলো কোচবিহার, এলাকাজুড়ে পুলিশি ধড়পাকড়

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তেতে উঠলো কোচবিহার, এলাকাজুড়ে পুলিশি ধড়পাকড়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র টানাপোড়েন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। প্রসঙ্গত, এই দুটি দলই এবারের নির্বাচনে মুখ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে আসরে নেমেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি একুশের বিধানসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর উঠে আসছে বাংলার রাজনীতিতে। আর এবার তৃণমূল, বিজেপির তুমুল সংঘর্ষের খবর এলো কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের মাখপালা অঞ্চল থেকে। সূত্রের খবর, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই তৃণমূল সমর্থক।

যথারীতি এই নিয়ে শুরু হয়েছে এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। একইসাথে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর উঠেছে তুঙ্গে। যথারীতি এই সংঘর্ষের কারণে তৃণমূল অভিযুক্ত করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বকে। বিজেপিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবের হাট বুথের তৃণমূল যুব সভাপতি সুজন বিশ্বাসকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তৃণমূল আরো অভিযোগ করে, সুজন বিশ্বাসকে যখন উদ্ধার করতে যাওয়া হয়, তখন তাঁদের সমর্থকদের ওপর বিজেপি অস্ত্রশস্ত্র সহযোগে হামলা চালায়। আর এই হামলাতেই দুজন তৃণমূল সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন।

তাঁদের নিকটবর্তী m.j.n. মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাহুল রায় জানিয়েছেন, এলাকায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচিতে তৃণমূল সমর্থকরা একত্রিত হচ্ছিল। ঠিক সেইসময় বিজেপির যুব মোর্চার মন্ডল সহসভাপতি একদল দুষ্কৃতীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মনোজ বিশ্বাসকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনও ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই গন্ডগোল হয়েছে। বিজেপিকে মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের পাঁচজন ধরাও পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ প্রহরা অব্যাহত। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় যত যাবে ততোই রাজনৈতিক হানাহানি বেড়ে উঠবে বাংলায়। কারণ একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসতে আর বেশি দেরি নেই।

আর এই বিধানসভা নির্বাচন জিততে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি। আর সেই সূত্রে দুই বিরোধীদলের হানাহানি কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে রাজ্যে বর্তমানে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। যথারীতি এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের কানে উঠবেই। সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!