এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত-গড়ে প্রভাব বাড়ছে বিজেপির? অফিসে ঢুকে পেটালো তৃণমূল? অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের

অনুব্রত-গড়ে প্রভাব বাড়ছে বিজেপির? অফিসে ঢুকে পেটালো তৃণমূল? অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণের অভিযোগ করতে দেখা গেছে বিজেপিকে। জানা গেছে, খাতড়া শহরে বিজেপি নেতার উপরে হামলা, মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সহ-সভাপতি শ্যামল সরকারের ওপর মারধরের কথা শোনা গেছে।

জানা গেছে, ব্লক যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুব্রত দে, তাঁদের লোকজন নিয়ে এসে শ্যামল সরকারের ওপর চড়াও হন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও অন্যদিকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করতে দেখা গেছে সুব্রতবাবুকে। তবুও খাতড়া অঞ্চলের এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন, দু’পক্ষের থেকে হামলার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সুব্রতবাবুর দাবি, তাঁরা পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি। তবে শ্যামলবাবুর অভিযোগ, ওই দিন তাঁর খাতড়া কোর্ট রোডের বাড়ির সামনের অফিসে ৩০-৩৫ জন চড়াও হয়। তারা রড আর লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিন তিনি ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘‘হাত দিয়ে কোনও রকমে লাঠি ধরে ফেলি। পিঠে, পায়ে বেধড়ক মারে। চেয়ার, টেবিল, টিভি আর মনীষীদের ছবি ভাঙচুর করেছে।’’ আর এই সবকিছুর জন্য সুব্রতবাবুর নেতৃত্বকেই দায়ী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শ্যামলবাবুর কথায়, সেই সময় পার্টি অফিসে থাকা দলের দুই কর্মী এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা তাঁর দুই ছেলে সেখানে এসে পড়লে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর তাঁকে খাতড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় বলেও জানান হয়েছে। এরপর রবিবার সকালে সুব্রত দে-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর তাঁর বাড়ি যেতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিন তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, পায়ের তলার মাটি যত সরছে, ততই বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা বাড়ছে। মারধর করে, ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের মন ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি।

শুধু তাই নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ রাজ্যের শাসকদলের এই সন্ত্রাসের যোগ্য জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে অভিযুক্ত খাতড়া ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সুব্রত দে জানান, তিনি খাতড়া শহরে নেই। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে আছেন। তাঁর কথায়, ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল হতে পারে বলেই মনে করেছেন তিনি।

উল্টে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁর এবং দলের নাম জড়ানো হচ্ছে। তাঁর পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলেই জানান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর মতে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুব্রত দে নামে অন্য কেউ হতে পারে। যদিও খাতড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনন্দমোহন মাহাতো জানান, কোনও রাজনৈতিক দলের উপরে হামলা বা মারধর করা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়।

সেইসঙ্গে তাঁর মতে, দল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাই থানায় অভিযোগ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিজেপি যেহেতু তৃণমূলের দলের ও কর্মীদের বিরুদ্ধ অভিযোগ এনেছে, তাই বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!