জঙ্গি যোগে নাম খারাপ হওয়ায় খাগড়াগড়-শিমুলিয়ার যুবকদের কাজ পেতে সমস্যা! গলায় একরাশ আক্ষেপ! অন্যান্য রাজ্য September 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মুর্শিদাবাদে জঙ্গি গ্রেফতারি নিয়ে উঠে এসেছে পুরনো খাগডাগড় কাণ্ডের কথা। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ দেখতে হলেও এই সমস্ত মানুষের মধ্যেই যে লুকিয়ে থাকে ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্ব, তা জানতে পেরে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সেখানকার মানুষ। তাদের কথায় আগের বারে যেভাবে জঙ্গি ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত ঘুনাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি এমন কোন ভয়ানক কিছু ওত পেতে রয়েছে তাদের এলাকায়। কিন্তু সম্প্রতি তাদের নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা তাদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে বলেই বলেছেন তারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে আল-কায়েদার যে সদস্যদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরীর বেশ কিছু সরঞ্জাম এবং ধাতুর তৈরি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করার পর কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজার থেকে জানা যাচ্ছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। কারণ কোনো নাশকতার ছক ছিল কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তদন্তকারীদের কথায়, খাগড়াগড়কে ঘিরে জেএমবি মডিউল যে শাখা তৈরি করেছিল, তা মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল। মুর্শিদাবাদ থেকেই আল কায়দা জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাই বর্ধমান-বীরভূমেও আল কায়দা কোনও ভূমিকা নিচ্ছিল কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। খাগড়াগড়-কাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে আল কায়দার যোগ আছে কি না, সেটাও খোঁজ নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আগের বারের মত এবারও জঙ্গীরা কলকাতাকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করেছিল। সেই সঙ্গে কলকাতায় তাদের কোনো নাশকতার ছক ছিল কিনা সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যেহেতু কলকাতার দুর্গাপূজা সামনেই, তাই এমন সময় নাশকতার ছক করা জঙ্গী বাহিনীর কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে অন্যদিকে এক স্থানীয় মানুষের কথায়, মুর্শিদাবাদে যে ছেলেগুলোকে জঙ্গী হিসেবে ধরা হয়েছে, সেই ছেলেগুলোর ছবি দেখে মনে পড়ছে, এখানে তারা কেমন নির্বিরোধী ভাবে থাকত। দেখে জঙ্গী তো কি, যেকোন ভালোমানুষ ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে সন্দেহ হত না। খাগড়াগড়-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার। সেখানকার এক মানুষের কথায়, ওই ঘটনার আগে জেএমবি-র নাম তিনি জানতেন না। এখন আবার আল কায়দার নাম শুনছেন। তবে প্রত্যেকের মতে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ব্যাপার হচ্ছে, কোথাও কোনও জঙ্গি ধরা পড়লেই সে প্রসঙ্গে খাগড়াগড় বা শিমুলিয়ার নাম উঠে আসছে। আর সেই এলাকা থেকে যাঁরা ভিন্ রাজ্যে কাজের জন্য যাচ্ছেন বা কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন তাঁদেরও সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই কিছু মানুষের অপরাধে বেশিরভাগ মানুষের দুর্ভোগ যাতে না হয় সেই অনুরোধই করতে দেখা গেছে এখনকার মানুষদের। আপনার মতামত জানান -