এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে একি দাবি করলেন মুকুল রায়? জানলে চমকে যাবেন!

তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে একি দাবি করলেন মুকুল রায়? জানলে চমকে যাবেন!


একদা মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকন্ড-ইন-কম্যান্ড। দলের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে, দলের সাংগঠনিক ‘অঘোষিত’ প্রধানের নাম ছিল মুকুল রায়। আর হবে নাই বা কেন? ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির, যখন বহু হেভিওয়েট শীর্ষনেতা তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দূরত্ত্ব বাড়াচ্ছেন, তখন মুকুল রায়ের হাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দলের সাংগঠনিক রাশ তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর দায়িত্ব পেয়েই, প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে ৫ বছরের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলার মসনদে বসান মুকুল রায়। কিন্তু, সেই ‘সুসম্পর্ক’ স্থায়ী হয় নি বেশিদিন। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুকুল রায় নাম লিখিয়েছেন বিপক্ষ শিবির বিজেপিতে। আর সেখানে এসেই, তাঁর পুরোনো দলের ঘুম ছুটিয়ে বাংলার রাজনৈতিক আকাশে পদ্মের পাপড়ি মেলে ধরতে মনোনিবেশ করেছেন।

সে কাজে যে দারুণভাবে সফল মুকুল রায় – সে কথা এখনই প্রমাণিত। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক, বা বিভিন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন বা সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচন – বিজেপির তুমুল সাফল্যের পিছনে মুকুল রায়ের অবদান কিছু কম নয়, মেনে নিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। আর এবার, মুকুল রায়ের নতুন দল বিজেপির লক্ষ্য, বাংলার মসনদ। আর সেই কাজে গতি আনতে, সুযোগ পেলেই তৃণমূল নেত্রীকে তুমুল বাক্যবানে বিঁধতে কোনো কসুর ছাড়েন না মুকুলবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি হয়ে গেল তৃণমূলের বার্ষিক সমাবেশ শহীদ দিবসের কর্মসূচি। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এদিন তীব্র আক্রমন শানালেন মুকুল রায়। সেদিন তৃণমূল নেত্রী ব্ল্যাকমানি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমনের নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। এদিন সেই প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, সব থেকে বেশি ব্ল্যাকমানি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর কাছেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে সেই টাকা ফেরত দিন।

মুকুলবাবু আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে আর চলছে না, তাই প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু, প্রশান্ত কিশোরকে ৫০০ কোটি টাকা দিতে গিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস ব্ল্যাকমানির আশ্রয় নিচ্ছে। ব্ল্যাকমানি কী তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট করতে হবে। তবে শুধু ব্ল্যাকমানিই নয়, মুকুল রায় এদিন ইভিএম ছেড়ে ব্যালট প্রসঙ্গেও তীব্র আক্রমন করেন তৃণমূল নেত্রীকে। এমনকি, তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি।

মুকুলবাবুর বক্তব্য, ইভিএম যদি ভুল হয় তাহলে ২০১১ ও ২০১৬-তে ক্ষমতায় এলেন কীভাবে? তাহলে কি তিনি এই দুই নির্বাচনে অন্যায়ভাবে জিতেছেন? আসলে ইভিএম ছেড়ে ব্যালটে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী ছাপ্পা মেরে ভোটে জিততে চাইছেন! একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আগামীদিনে তৃণমূল জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাতে চলেছে। পরবর্তী সময়ে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতিও হারাবে – কেননা, আগামী দুটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের মূল্যায়ন করবে। আর মুকুলবাবুর এই আঞ্চলিক দলের তকমা যাওয়ার দাবি ঘিরেই আপাতত সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!