এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে মন্তব্যের জেরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীকে ঘিরে

বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে মন্তব্যের জেরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীকে ঘিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি যে মারাত্মক উদ্বেগজনক, সে বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই। অন্যদিকে ভারতের অবস্থাও খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য দেশজুড়ে লকডাউন চললেও করোনা ছবির বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক বা ওষুধ কোনকিছুই আবিষ্কার হয়নি। এই অবস্থায় অবশ্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভেষজ ওষুধের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই একই সুর শোনা গেল বাংলার হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর গলায়।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভেষজ গাছ লাগানোর একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বর্ধমান জেলা প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এবং এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মন্তব্য করেন, ‘করোনার প্রতিষেধক হিসেবে তুলসী পাতার রস অব‍্যর্থ, তাই সকলের তুলসীর রস খাওয়া প্রয়োজন।’ যথারীতি তৃণমূল মন্ত্রীর এই কথা শুনে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর মন্তব্য প্রসঙ্গে কালনা হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, তুলসীপাতা অবশ্যই একটি উপকারী ভেষজ গুণসমৃদ্ধ। তবে তুলসী পাতা খেলে করোনা ভালো হবে কিনা, সে কথার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। অন্যদিকে রবিবার উক্ত অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ছাড়াও এলাকার শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক তাপস কার্ফা, ছিলেন কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই সহ বিশিষ্টজন ও এলাকার পড়ুয়ারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তুলসী পাতার উপকারিতা যেরকম বুঝিয়েছেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, ঠিক সেভাবেই সকলকে তুলসী পাতা খাওয়ার জন্য আবেদন জানান। শুধু তাই নয়, উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি একটি তুলসীর চারা রোপণ করেন বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কালনা হাসপাতালে সুপার আরো জানিয়েছেন, তুলসির অবশ্যই কিছু ভেষজ গুণ আছে। যার ফলে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটাই।

কিন্তু তাই বলে করোনা প্রতিষেধক হিসাবে তুলসী কাজে লাগবে এমন কোন প্রমাণ এখনো পর্যন্ত মেলেনি। তবে সাধারণের ঘরে তুলসী পাতা খাওয়া হয় সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। অন্যদিকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কথা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অনেকেই তার কথার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মহলের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। অন্যদিকে সূত্রের খবর, তাঁর নিজের দলেও এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেষজগুণে সমৃদ্ধ এমন অনেক কিছুই আছে যা আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। কিন্তু সেরকম কোন জিনিসকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে দাবি করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ এই মুহূর্তে নেই। যে জিনিসের কোন প্রমাণ নেই, সে জিনিসকে কিভাবে একজন মন্ত্রী হয়ে দাবি করতে পারেন তাই নিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন। আপাতত তুলসী করোনার প্রতিষেধক হয়ে উঠতে পারবে কিনা তা পরবর্তী ব্যাপার। তবে তুলসীকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে দাবী করে তৃণমূল মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ যে বেশ কিছুটা হালকা চালে কথা বলে ফেলেছেন, সে বিষয়ে একমত সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!