এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের মুখে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে কিশোরী পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ ঘিড়ে তীব্র উত্তেজনা

ভোটের মুখে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে কিশোরী পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ ঘিড়ে তীব্র উত্তেজনা

ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হওয়ায় একদিকে যখন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে,তখন অপ্রত্যাশিতভাবে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে কিশোরী পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর কাঁথিতে। কাঁথি শহরের কুমারপুর এলাকার তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতির বাড়ি থেকে ১৭ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিজের রুমেই সিলিং ফ্যানে শাড়ির ফাঁসে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,মৃতার নাম দেবারতি সাউ। বছর সাতেরোর মেয়েটির বাড়ি কুমারপুর এলাকায়। ২০১৯-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল মেয়েটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,আত্মঘাতী হয়েছে মেয়েটি।

তবে কী কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু হতেই দেহটি ময়না তদন্তের জন্যপ মহাকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবারতির বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন৷ একটা সময় স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ায় গীতা সাউ এবং তাঁর ছোট মেয়ে দেবারতিতে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন বিধায়ক বনশ্রী দেবী। বাড়ির নীচের তলার দুটো ঘরে মা গীতা সাউ এবং দেবারতিকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। বেশ অনেক বছর ধরেই ওখানে থাকছিলেন তাঁরা।

এছাড়া দেবারতির অন্য দুই বোন বনশ্রীদেবীর তত্বাবধানে হোমে পড়াশুনো করছে। এই পরিবারের সঙ্গে বিধায়কের পরিবারের সম্পর্ক ভালো বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার দিন সকালে দেবারতি ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহের বশে মা সহ বিধায়কের বাড়ির লোকজন দেবারতিকে ডাকাডাকি শুরু করে। দরজা না খোলায় দরজা ভাঙতে বাধ্য হন তাঁরা। দরজা ভেঙেই দেখা যায় দেবারতির প্রাণহীন দেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। পুলিশের অনুমান, রাতের বেলায় সকলের অগোচরে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দেবারতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিবার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রী নিঃসন্তান হওয়ায় পরিচারিকা হিসাবে নয় নিজের মেয়ের মতোই দেবারতিকে ভালোবাসতেন তাঁরা। বিধায়ক দেবারতির পড়াশুনো এবং ভরণপোষণের খরচও চালাতেন। এই ঘটনায় ভীষণভাবে আহত হয়েছেন বিধায়ক।

দেবারতির আত্মহত্যার খবর শুনে চোখের জল বাঁধ মানছিল না তাঁর। ছলছল চোখে বিধায়ক বলেন,’এই ঘটনায় আমি খুব মর্মাহত হয়ে রয়েছি। কোনওমতে ঘটনাটি মেনে নিতে পারছি না। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। কোনও কিছু বলতে পারব না। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিসই যা করার করবে।’

অন্যদিকে,দেবারতির মা বুঝে উঠতেই পারছেন না কীকরে এই ঘটনা ঘটল। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই রাতের খাওয়া সেরে নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল দেবারতি। পরদিন সকলে সিলিং ফ্যানে ঝোলা তার নিথর দেহ অবাক করেছে সকলকেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে,বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে দেবারতি। তবুও আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্তকার্য চালিয়ে যাচ্ছে কাঁথি থানার পুলিশ।

কাঁথির অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বললেন,’ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমাদের কাছে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!