এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশংসা সহ একের পর এক ‘বিস্ফোরক মন্তব্য’ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের

দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশংসা সহ একের পর এক ‘বিস্ফোরক মন্তব্য’ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের

এবারের নির্বাচনে প্রথম থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যত দফা এগিয়েছে, ততই সেন্ট্রাল ফোর্সের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের নেতা নেত্রীদের সুর চড়েছে। সবে শেষ হয়েছে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনে একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী দলনেত্রীর দেখানো পথেই সরব হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়, আবার ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বাধাদানের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। এমনকি নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

আর গোটা তৃনমূল পরিবার যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিধাননগরের মেয়র কথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে। সূত্রের খবর, শেষদফার নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সব্যসাচী বাবু। আর সেখানেই এবারের ভোট পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কেমন – এই ব্যাপারে প্রশ্ন করায় তিনি মুখ খোলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাব্যসাচীবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী ভালোই ভোট পরিচালনা করছে।” আর সব্যসাচী দত্তর এই কথাতেই তীব্র জল্পনা শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেন, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এই সব্যসাচীবাবুর বাড়িতে গিয়ে লুচি আলুর দম খাওয়াকে কেন্দ্র করে একসময় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই ঘটনার পরই সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়। যদিও বা পরে, তৃণমূলে থাকছেন বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিধাননগরের মেয়র।

কিন্তু তারপরও জটিলতা কাটেনি। বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের প্রচারে তিনি সেইভাবে ডাক পাননি বলেও জানিয়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। পাশাপাশি ভোটের দিন সব্যসাচী দত্ত সম্পর্কে কাকলি ঘোষ দস্তিদার কে প্রশ্ন করলে কাকলি দেবী “হু ইজ সব্যসাচী?” বলে প্রশ্ন তুলে দেন। আর এতেই দলের থেকে ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত বলে জল্পনা শুরু হতে থাকে।

আর সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনের দিন গোটা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই দলের বিপক্ষে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভালোভাবেই ভোট পরিচালনা করছে বলে সব্যসাচীবাবু মন্তব্য করায় এখন তৃণমূলে যে তিনি অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পরবেন সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অন্যদিকে ভোটগ্রহণের দিন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে নিউ টাউন থানার সামনে ধর্নায়ও বসেন। সেই ব্যাপার নিয়েও তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে পাল্টা কাকলিদেবীকেই চাপে ফেলে দিয়ে সব্যসাচীবাবু বলেন, “আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশ মন্ত্রী। কাকলি নিশ্চয়ই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ণায় বসেননি!” সব মিলিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলায় এখন শেষ পর্যন্ত বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!