এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলকে চাপে ফেলে মোদী-শাহের মাস্টারস্ট্রোক? নুসরত জাহানকে গুরুত্বপূর্ণ পদ কেন্দ্রের

তৃণমূলকে চাপে ফেলে মোদী-শাহের মাস্টারস্ট্রোক? নুসরত জাহানকে গুরুত্বপূর্ণ পদ কেন্দ্রের


রাজনীতিতে যোগদান করার পর থেকেই বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান বারবার বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এবার বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নুসরাত জাহানের স্থান পাওয়া নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতে নুসরাত জাহান সংসদে প্রবেশ করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এবার মোদি সরকারের নতুন কমিটিতে স্থান করে নিলেন নুসরাত জাহান। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এক পক্ষে তৃণমূল সরকারকে চাপে রাখতে চাইলেন।

এবার কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের পরামর্শদাতার কমিটিতে স্থান পেলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে হেমা মালিনীর পাশে একই কমিটিতে দেখা যাবে। বর্তমানে 15 জনের এই কমিটিতে নুসরাত ছাড়াও রয়েছেন হেমা মালিনী, মনোজ তিওয়ারি প্রমুখরা। তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এই কমিটি চালাবেন। অতীতে বারংবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করার। এবার সেই বিজেপির কমিটিতেই নুসরাত জাহানকে স্থান দিয়ে আদতে তৃণমূলের মুখ বন্ধ করার প্রস্তুতি নিল বিজেপি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলের দাবি, নুসরাত জাহান যেহেতু এই কমিটিতে রয়েছেন, সেহেতু মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করার যে অভিযোগ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার আনত, সেই অভিযোগের কোনো ভিত্তি রইল না। সে ক্ষেত্রে সরকার যদি কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন বিরোধীরা। এমনকি সাংসদদের পরামর্শ নিয়েও এই নতুন কমিটিতে চিন্তাভাবনা করা হবে। নুসরত জাহানকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনার সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বরাবরই বিজেপি এই বাংলায় মুসলিম বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু সাংসদ নুসরত জাহানকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়ায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠে, বাংলায় মুসলিম বিরোধিতা করার, সেই অস্ত্রকে ধরাশায়ী করতেই মোদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই সিদ্ধান্তের ফলে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি কি সুবিধা পাবে আগামীদিনে, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!