এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বেহাল রাস্তা ঠিক করা দূরের কথা, ভালো রাস্তা খুঁড়ে খারাপ করার অভিযোগ তৃণমূল পুরসভার বিরুদ্ধে

বেহাল রাস্তা ঠিক করা দূরের কথা, ভালো রাস্তা খুঁড়ে খারাপ করার অভিযোগ তৃণমূল পুরসভার বিরুদ্ধে


শারদোৎসবে যখন বৃষ্টিসুর চোখ রাঙাচ্ছে, আর তাতে যখন সেই অসুরকে বধের প্রার্থনা মা দুর্গার কাছে জানাচ্ছে রাজ্যবাসী, ঠিক তখনই পুজোর মুখে সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে দেখা গেল তৃণমূল পরিচালিত রায়গঞ্জ পৌরসভাকে। একেই বৃষ্টিপাতের দিনে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

যার ফলে দুর্গা প্রতিমা দেখতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন সাধারন মানুষ। কিন্তু এবার রায়গঞ্জ পৌরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল যে, বেহাল রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি ভালো রাস্তাও বিনা কারণে খোরা হচ্ছে। যার জেরে বাসিন্দাদের মনে পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে।

অনেকেই বলছেন, ভাল রাস্তাগুলিকে ভেঙে কেন পূজোর আগে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে! জানা গেছে, এই রায়গঞ্জ পৌরসভার মোট 74 টি রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় কুড়ি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই কিছু রাস্তা ভেঙ্গে ফেলার পর সেখানে পাথরকুচি ফেলে দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সেই রাস্তা মেরামতের জন্য সেখানে পিচ দেওয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, কিছুদিন আগেই এই রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস কলেজপাড়ার বেহাল রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে মোটর বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। তবে বাসিন্দাদের অসুবিধের কথা জেনেও কেন পুজোর মুখে বেহাল রাস্তা ঠিক না করে ভালো রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে, তা নিয়ে সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে পৌরসভার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

এদিন এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “আমার সময় একবার রাস্তা তৈরি করলে অন্তত পাঁচ বছর সেই রাস্তায় হাত দিতে হত না। এখন বছরে অনেক রাস্তায় তিনবার কাজ করতে হচ্ছে। কাজের কাজ কিছু না হলেও কাউন্সিলরদের একাংশের পকেটে মোটা টাকা কাটমানি ঢুকছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “প্রতিবছর পুজো এলে রাস্তা সংস্কারের হিড়িক পড়ে যায়। ভালো রাস্তা ভেঙে দিয়ে সেই রাস্তায় কোটি কোটি টাকার কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামে পৌরসভার অনেক কাউন্সিলারের পকেটে কাটমানি চলে যাচ্ছে। অনেক কাউন্সিলর বেনামে ঠিকাদারি করছেন। পুজোর আগে সমস্ত রাস্তার কাজ শেষ করার কথা বললেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না।”

তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী সত্যিই নিজেদের পকেট ভর্তি করতে কাটমানি টাকা ঢোকানোর জন্যই পুজোর মুখে ভাল রাস্তাকেও খুরে সাধারণ মানুষকে সমস্যার মুখে ফেলতে চাইছেন তারা? এদিন এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পুজোর দিনগুলো নির্বিঘ্নে কাটাতে সব রকম উদ্যোগ নিচ্ছি। শহরের 74 টি রাস্তা কয়েক মাস আগে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্ষা দেরিতে আসায় সমস্যা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলেই সমস্ত রাস্তার সংস্কার করা হবে। বিরোধীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন।”

তবে কার কথা সত্যি, আর কার কথা মিথ্যে তা এলাকাবাসীরা খতিয়ে দেখতে চান না। তাদের একটাই দাবি এবং আবেদন, সড়ক ব্যবস্থার অবিলম্বে উন্নতি ঘটানো হোক। কারণ তা না-হলে পুজোর সময় এই দুর্যোগপূর্ণ রাস্তা দিয়েই জীবনকে হাতে নিয়ে পথ চলতে হবে তাদের। ফলে সাধারণ বাসিন্দাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এখন পুজোর আগে ভালো রাস্তা খোরা বাদ দিয়ে খারাপ রাস্তা সারানোর জন্য পৌরসভা ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!