এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়া ব্রিগেডের সফল রূপায়নে তৃণমূল নেত্রীর প্রধান ভরসা হতে চলেছেন যুবরাজই

সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়া ব্রিগেডের সফল রূপায়নে তৃণমূল নেত্রীর প্রধান ভরসা হতে চলেছেন যুবরাজই


হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর তারপরই দেশের সমস্ত বিরোধী নেতাকে এক মঞ্চে আনতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত আগামী ১৯ শে জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ঐতিহাসিক জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। যে জনসভার মূল উদ্দেশ্যই হল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে উৎখাতের ডাক দেওয়া।

মঞ্চ থেকে মাঠ প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে সাউন্ড সিস্টেম – কোনো কিছুতেই খামতি রাখতে চাইছেন না রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এবারের এই ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরাই। আর এই ব্রিগেড সমাবেশকে যাতে রেকর্ড সংখ্যক লোক দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া যায় এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন যে এখনও অটুট রয়েছে তা যাতে দেশের অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের কাছে তুলে ধরা যায় সেই জন্য সেই ব্রিগেডে রেকর্ড সংখ্যক লোক আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা নেত্রীরা।

আর রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক লোক আনার জন্য সেই জেলার নেতাদের টার্গেটও বেঁধে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের কার্য কর্তারা। আর এই জমায়েত করার মূল ভার পড়েছে যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই। প্রসঙ্গত, গত ১৯৭৫ সালের ব্রিগেডে ইন্দিরা গান্ধীর সমাবেশের জমায়েতকে নিয়ে আজও গর্ববোধ করেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। পরবর্তীতে গত ২০০৬ সালে তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল বামফ্রন্ট এই ব্রিগেড সমাবেশ করে রেকর্ড গড়েছিল বলে দাবি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু গত ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল বামেদের এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে বর্তমানে দাবি করেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। কিন্তু এবারে অতীতের এই সমস্ত রাজনৈতিক দলের রেকর্ড ভেঙে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা এবারের এই ব্রিগেড সমাবেশ তাঁদের কাছে শুধু নিজেদের শক্তি পরীক্ষা নয়, জাতীয় রাজনীতিতে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কতটা নির্ণায়ক শক্তি রূপে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে তারও একটা লড়াই।

আর তাই দেশের বিরোধী দলের সমস্ত নেতানেত্রীরা যখন বিজেপি বিরোধী মহাজোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বকে মান্যতা দিচ্ছেন, ঠিক তখনই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশকে রেকর্ড সংখ্যক লোক দিয়ে ভরিয়ে দিতে চায় তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় এই ব্যাপারে জোরদার প্রচার করা হয়েছে। অন্যদিকে মঞ্চ প্রস্তুতির জন্যেও প্রায় দিনরাত এক করে সেই ব্রিগেডে পড়ে থাকছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বরা। এদিকে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে লোকেদের যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

জানা গেছে, আগত কর্মী-সমর্থকদের থাকা এবং খাবার জন্য দক্ষিণ কলকাতার উত্তীর্ণ, রাজডাঙ্গার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোরের কাছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং বড়বাজার এলাকায় বিভিন্ন ধর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে শেষ মুহূর্তে যাতে আরও বিভিন্ন জেলা থেকে লোক নিয়ে আসা যায় এবং সেই লোকেদের যাতে কোনো রকম অসুবিধে না হয়, সেজন্য বুধবারই থাকা এবং খাবার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু যে রেকর্ড সংখ্যক লোকের আসা করে তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশ, সেই ব্রিগেড সমাবেশে ঠিক কত লোক ভরাতে সক্ষম হবেন তাঁরা?

এখনই এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা মন্তব্য করতে না চাইলেও প্রতিটি জেলা থেকে জেলা নেতৃত্বদের যে সংখ্যক লোক আনার জন্য টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেক লোক আসলে এই ব্রিগেডে জায়গা দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে মত তপসিয়ার তৃণমূল ভবনের ম্যানেজারদের। তবে রাজ্যের শাসকদলের এহেন দাবি ঠিক কতটা সত্যি হয় এবং ব্রিগেডে লোক ভরানোর মূল দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মহতি পরীক্ষায় ঠিক কতটা উত্তীর্ণ হন এখন তা দেখার জন্য তাকিয়ে থাকতেই হবে আগামী ১৯ শে জানুয়ারি তৃনমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!