পঞ্চায়েতে প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের নতুন ফর্মুলা, নতুন করে দ্বন্দ্বের আশঙ্কা দলের একাংশের বিশেষ খবর রাজ্য January 25, 2018 রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান দলের নতুন প্রজন্মকে তুলে আনতে, আর তাই আগামী দিনের নির্বাচনগুলিতে আরও বেশি করে ছাত্র, যুবকে প্রার্থী করতে চান তিনি। আর এই ব্যাপারে বর্তমানে দলের অঘোষিত দুনম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাকি তাঁর সঙ্গে একমত। আর প্রথমধাপ হিসাবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা করে দেখতে চাইছে শাসকদল। তৃণমূল সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্বকেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে বলেছে শীর্ষ নেতৃত্ত্ব। অন্যদিকে জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নাম পাঠাতে হবে রাজ্য নেতৃত্ত্বকে, সেখানেই চূড়ান্ত হবে তালিকা। কিন্তু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে মেনে চলতে হবে নতুন ফর্মুলা। কি সেই ফর্মুলা? সূত্রের খবর, গতবারে যেসকল প্রার্থী জিতেছিলেন বা পরবর্তীকালে দল পাল্টে শাসকদলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই আবার টিকিট পাবেন, যদি না সেই আসনটি সংরক্ষিত হয়ে যায়। আগে জানা যাচ্ছিল, আসন সংরক্ষণের আওতায় পড়লে সেই জেলারই অন্য আসনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমানে তা না হয়ে ওই আসনে যুব ও ছাত্র নেতাকে টিকিট দেওয়া হবে বলে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এমনকি গতবারের হারা আসনেও নতুন মুখ আনার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাংশের মতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে শোনা যাচ্ছে দলের এক ‘বিশেষ’ শীর্ষনেতার অনুগামীদের টিকিট পাইয়ে দিতেই নাকি এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারথেকেও বড়কথা যাঁরা এই ফর্মুলায় টিকিট পেলেন না, তাঁরা টিকিট না পেয়ে অন্য দলে টিকিট প্রত্যাশী হয়েও যোগ দিতে পারেন। অথবা তাঁদের শান্ত রাখতে তাঁদের পরিবারের কাউকে ঘুরিয়ে টিকিট দেওয়া হতে পারে, যা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগকে আরো দৃঢ় করবে। যদিও হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তৃণমূলনেত্রী বরাবরই যুবসমাজকে সামনে রেখে কাজ করেন। এখন যাঁরা প্রবীন নেতা তাঁদের অনেকেই যুব হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। নেত্রী নিজেও যুব রাজনীতি করেছেন। তবে যাই হোক না কেন তা নিয়ে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভের বিষয় নেই। দলনেত্রী যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই সকলে মেনে চলবেন। কিন্তু তবুও শাসকদলের নতুন ফর্মুলায় নতুন করে দ্বন্দ্বের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। আপনার মতামত জানান -