তৃণমূল সরকারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ কংগ্রেস জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের নানা স্থানে কৃষকদের বিক্ষোভের আবহে আজ দেশের কৃষকদের একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার পরবর্তী কিস্তির ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। সুইচ টিপে এই অর্থ পাঠালেন তিনি। কিন্তু, এই অর্থলাভ থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষকেরা। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে তীব্রভাবে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল সরকারের কারণেই রাজ্যের কৃষকেরা কেন্দ্রের এই অর্থলাভ থেকে বঞ্চিত। রাজনৈতিক কারণেই পশ্চিমবঙ্গের কৃষক ভাইয়েরা এই সাহায্য পাননি বলে, তিনি অভিযোগ করেছেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নষ্ট করছে বাংলাকে। তিনি জানিয়েছেন যে, এ কথা বলতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিচারধারার কারণেই বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা। দেশজুড়ে চলছে মিথ্যা প্রচার। তিনি কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, কোনভাবেই তাদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেয়া হবে না। কেন্দ্র সরকারের এই যোজনা থেকে রাজ্যের কৃষকেরা বঞ্চিত হওয়ায়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্য। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কৃষকদের তালিকা দিতে অস্বীকার করার কারণেই, এরাজ্যের কৃষকেরা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। টুইট করে তিনি লিখেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর(পিসির) ইগোর কারণেই কৃষকদের এমন দুর্দশা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের পর এ বিষয়ে মুখ খুললেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি রাজ্য সরকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি জানালেন যে, সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। তিনি কটাক্ষ করেন যে, কেন্দ্র ৬০০০ টাকা দিয়ে এমন ভাব দেখাচ্ছে, যেন কৃষকদের ৬ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, বাংলার কৃষকেরা অনেক বেশি টাকা পাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী কৃষক বিরোধী আইন গুলি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোন কিছুই জানাননি। শুধুমাত্র তিনি আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গকে। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করলেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্য সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, অমিত মালব্য কে? তিনি কোথা থেকে এসেছেন? তা তিনি জানেন না। আবার অমিত মালব্য জানেন না যে, বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার আজ নয়া কৃষি আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন, ” করোনাকালে যখন সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে ছিলেন তখন চুপিসারে আইন আনলেন। অর্ডিনান্স চালু করলেন। কিষাণদের লুঠ করা হচ্ছে, তা আমরা মানব না? “ আপনার মতামত জানান -