এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গ্রামসভা ছাড়িয়ে এবার তৃণমূল ও যুবর মধ্যে অশান্তির আগুন পঞ্চায়েত সমিতিতেও

গ্রামসভা ছাড়িয়ে এবার তৃণমূল ও যুবর মধ্যে অশান্তির আগুন পঞ্চায়েত সমিতিতেও

কথায় আছে, সকালটা দেখলেই বোঝা যায় সারা দিনটা কেমন যাবে! ঠিক তেমনি রাজ্যে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক বনাম শাসকের লড়াই দেখে অনেকের মনেই আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল যে, সামান্য পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই যদি এত লড়াই হয় তবে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদে কি হবে? এবার সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনেও শাসকদলের অন্দরে ক্রমশ বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতি তৃনমূল নাকি তৃনমূল যুবর হাতে থাকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তৎপরতা। সভাপতি পদে নিজেদের গোষ্টীর লোককে বসাতে পিছিয়ে নেই কোনো পক্ষই। জানা গেছে, এখানে তৃনমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর  তার শিবির থেকে এই সভাপতি পদে কামাল হোসেন লস্করের নাম সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে যুবর তরফে এই সভাপতি পদে তুলে ধরা হয়েছে মান্নান শেখ এবং জালাল মোল্লার নাম। তবে এই গোষ্টীকোন্দলে খুশি নন দলের অনেক নীচুতলির কর্মীই।

তাঁদের মতে, এত ঝামেলায় না গিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বিগত বোর্ডের সভাপতি প্রতিমা মন্ডলকে ফের সভাপতি পদে বসানো হোক। কিন্তু ক্ষমতার চেয়ারে নিজেদের শিবিরের আধিপত্য কায়েম করতে তৎপর দুই শিবিরই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবার এই সভাপতি পদ তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিথ থাকলেও এবার তা সাধারন হয়েছে। বহু বিতর্কের মাঝেও সুকৌশলে সকলকে সাথে নিয়ে বিগত বোর্ড চালানোয় প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রতিমা মন্ডল। কিন্তু এবারে কি হবে?

দলীয় সূত্রের খবর, যুবর তরফে একসময়ে এই অঞ্চলের তৃনমূল ব্লক সভাপতি মান্নান শেখ এবং তৃনমূল নেতা জালাল মোল্লাকে সভাপতি চেয়ে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে দলের যুবর শীর্ষনেতৃত্বকে। তবে বাসন্তীতে একটি খুনের ঘটনায় জড়িত এই জালাল শেখের নাম সভাপতি পদে সুপারিশ করায় দলের যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃনমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের গোষ্টী।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাল্টা মূল সংগঠনের পক্ষ থেকে কামাল হোসেন লস্করকে সভাপতির পদে বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই শিবিরই দল ভারী করতে নিজেদের দিকে জয়ী সদস্যদেরও টানতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধী দল না থাকলে এমনটাই নয়। দলীয় কোন্দলে দলের ঐক্যে আঘাত করে আদতে তো দলেরই ক্ষতি হচ্ছে। সভাপতি পদে নিজের লোককে বসানো নিয়ে দুই শিবির ব্যাস্ত বটে!  কিন্তু তারা এটা বুঝতেই চাইছেন না যে ক্ষমতা দুই দিনের, রাজনীতি চিরদিনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!