এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্রনেতার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্রনেতার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

অতীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনেক নেতাকে নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্ক হয়েছে‌। কলেজ ক্যাম্পাসে অশান্তির ঘটনা থেকে শুরু করে ছাত্র নেতাদের অনার্সের বিনিময়ে টাকা তোলা, বিরোধীদের হাতে নতুন করে রাজনৈতিক অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। কিন্তু এবার বিরোধীদের হাতে নতুন করে অস্ত্র তুলে দিয়ে, নিজেদের অস্বস্তি বাড়িয়ে নিজেদের হাতেই রিভলবার নামক অস্ত্র তুলে নিতে দেখা গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোচবিহারের তুফানগঞ্জ কলেজে টিএমসিপির সহকারি সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে একটি ছবি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়। যে ছবিটির স্ক্রিনশট নিয়ে পোস্ট করেন বিজেপি যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা অফিস সেক্রেটারী অসীম রায়। যে ঘটনা এখন চরম বিতর্কে ফেলে দিয়েছে সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে।

কেন একজন ছাত্রনেতা এভাবে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। পাশাপাশি বিরোধীরাও এই ঘটনায় তৃণমূলকে চেপে ধরতে শুরু করেছে। এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সেই নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির অসীম রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “টিএমসিপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ছবি পোস্ট করেছেন। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনার জন্য আমি পাল্টা পোস্ট করেছি। ঘটনায় তদন্ত করার জন্য আমি কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।” তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিনেতার এহেন ছবি সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়লেও, তার সম্পূর্ণরূপে অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সেই ইমরান হোসেন।

এদিন তিনি বলেন, “ওটা আসল বন্দুক নয়। 23 ডিসেম্বর তুফানগঞ্জ কলেজে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে কলেজের এনসিসির ছাত্রছাত্রীরা দেশপ্রেমের উপর একটি অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। আমি অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করি। অভিনয়ের আগে ওই নকল খেলনা বন্দুক হাতে নিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলাম। বিষয়টি নিয়ে এভাবে বিতর্ক ছড়াবে, আমি বুঝতে পারিনি।”

আর তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতা এভাবে কথা বললেও, অনেকে বলছেন, ইমরান হোসেন তো বাচ্চা ছেলে নয়, তিনি তো অত্যন্ত পরিণত। আর তাইতো তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাহলে সেই বন্দুক এখন নকল বলে যতই তিনি দাবী করার চেষ্টা করুন, বিরোধীরা তো তাকে ছেড়ে কথা বলবে না। এক্ষেত্রে তিনি যখন রাজনীতি করছেন, তখন তো তার সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।

কেন তিনি এমন কোনো ছবি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করলেন! এখন তা নিয়ে সেই নেতার অনভিজ্ঞতা সহ অন্যান্য বিষয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি বিরোধীরা যে সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার এই কথায় কোনো গুরুত্ব দেবে না এবং তৃণমূলকে এই ব্যাপারে চেপে ধরবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!