এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের এক বিধায়ককে প্রকাশ্য হুমকি অপর বিধায়কের, গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে হস্তক্ষেপ শীর্ষ নেতৃত্বের

তৃণমূলের এক বিধায়ককে প্রকাশ্য হুমকি অপর বিধায়কের, গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে হস্তক্ষেপ শীর্ষ নেতৃত্বের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল কোন নতুন বিষয় নয়। এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দলকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বচসা বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সম্প্রতি, তাঁদের এই পারস্পরিক দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার শক্তিপুরের এক জনসভা থেকে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে একেবারে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে, খুব সাবধান হোন রবিউল চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে যেন তিনি পাঙ্গা নিতে না আসেন। না হলে হাড়গোড় এক করে দেবেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের এই প্রকাশ্য হুমকি যথেষ্ট বিতর্ক বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় তৃণমূলের অস্বস্তি। এই বক্তব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী বারবার দলের নেতা-কর্মীদের সংযত থাকতে, শৃংখলাবদ্ধ হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরও এই ধরনের হুমকি নানা প্রশ্ন তুলে দেয়। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, হুমকি দেবার পরেও এ বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করেননি বিধায়ক রবিউল চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি শুধু জানিয়েছিলেন যে, তিনি হলেন বিধায়ক। তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর কোনো প্রতিক্রিয়া তিনি দিতে চান না। তবে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবকিছু চলবে বলে, জানান তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর, গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, প্রকাশ্য জনসভা থেকে হুমায়ুন কবীর যেভাবে রবিউল আলম চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, যে শব্দ তিনি ব্যবহার করেছেন, দল তার অনুমোদন দেয় না। পরিষদীয় মন্ত্রী ও দলের মহাসচিব হিসেবে তিনি ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন হুমায়ুন কবীরকে। কিন্তু ফোনে তাঁকে পাননি। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, দলের পক্ষ থেকে তাঁকে এই আচরণের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর কাছে এই নোটিশ পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এভাবেই আপত্তিকর বক্তব্য রাখা তথা হুমকির অভিযোগে দলের পক্ষ থেকে শোকজ করা হলো ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরো জানিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি কি উত্তর দেন, তার ওপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তৃণমূল শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, রবিউল চৌধুরীকে হুমকি দেওয়া হুমায়ুন কবীরের এই ভিডিও খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায়, যা থেকে বাড়ে দলের তীব্র অস্বস্তি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!