এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তড়িঘড়ি দিল্লিতে রাজ্যপাল! এবার কি কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র? তুঙ্গে জল্পনা!

তড়িঘড়ি দিল্লিতে রাজ্যপাল! এবার কি কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র? তুঙ্গে জল্পনা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, হয়ত এলাকায় না পৌঁছলে সেটা বুঝতে পারতেন না পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। সকলেই তার কাছে আশা করছেন, এবার তিনি সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে কোনো একটা কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। অবশেষে জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়ে দিনভর সন্দেশখালির মা-বোনেদের কান্না, আর্তনাদ শোনার পর সোজা দিল্লি চলে গেলেন সিভি আনন্দ বোস। আর তারপরেই নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই সন্দেশখালি নিয়ে বড় কোনো অভিযোগ এবং রিপোর্ট জমা দিতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল? আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই কি কেন্দ্র একটা বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে এই বাংলার জন্য! যদি এমনটা হয়, তাহলে সত্যিই বাংলার মানুষের কাছে এবার একটা সুখবর আসতে চলেছে। কিন্তু কি করবেন রাজ্যপাল? দিল্লি পৌঁছে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে! তা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা এবং গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গ তো  সন্দেশখালি কে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তাল  রাজ্য রাজনীতি, রাজ্যপাল সেখানে পৌঁছে গেলেও বিরোধীদল বিজেপিকে আটকে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ বাসের মধ্যেই বসে থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর রাজ্যপাল কিন্তু এমনি এমনি এই সন্দেশখালিতে যাননি। শনিবার সেই রাজভবনে গিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপাল যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে তারা যে রাজভবনের সিঁড়িতে বসেই প্রতিবাদ জানাবেন, সেটাও স্পষ্ট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে, এটা আঁচ করেই তড়িঘড়ি কেরল থেকে বাংলায় ফিরেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তবে  তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার পর থেকেই সেখানকার মা-বোনেরা তার কাছে হাহাকারের কথা শুনিয়েছেন। রাজ্যপালকে তারা নিজেদের অভাব অভিযোগ বলতে গিয়ে এটাও বলেছেন যে, যারা মূল অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি যেন গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সেখানকার মহিলারা আতঙ্কিত যে, রাজ্যপাল চলে যাওয়ার পর তাদের ওপর আবার নির্যাতন করা হতে পারে। তাই দোষীরা যাতে কোনো মতেই বাইরে না থাকে, সেই জন্য বারবার রাজ্যপালের কাছে তার পা ধরে আকুতি মিনতি করেছেন সন্দেশখালির মহিলা সমাজ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এত কিছুর পরেও যদি রাজ্যপাল চুপ থাকে, তাহলে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই সন্দেশখালি যে উত্তপ্ত, সেটা ভালোই অনুভব করতে পেরেছেন সিভি আনন্দ বোস। স্বাভাবিক ভাবেই আর দেরি না করে একেবারে তড়িঘড়ি দিল্লিতে চলে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তার এই দিল্লি সফর কি অন্যান্য বারের মতোই স্বাভাবিক! নাকি এবার একটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করবেন! রাজ্যের যে ভয়ংকর পরিস্থিতি, সন্দেশখালি যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছে, তাতে মা-বোনেদের হাহাকার শুনে তিনি কি এবার কেন্দ্রকে বলবেন যে, আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এবার এই রাজ্যের বিরুদ্ধে একটা অ্যাকশন গ্রহণ করা হোক! যদি তাই হয়, তাহলে কিন্তু সন্দেশখালি নিয়ে ঘুম উড়তে চলেছে নবান্নের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!