এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আমি ঠাণ্ডা ঘরে বসে রাজ্যপাট চালাই না, জেলায়-জেলায় মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াই: মুখ্যমন্ত্রী

আমি ঠাণ্ডা ঘরে বসে রাজ্যপাট চালাই না, জেলায়-জেলায় মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াই: মুখ্যমন্ত্রী


ফের প্রকাশ্যেই প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিককে খাবারের মানের জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মরা মুরগির ব্যবসা প্রসঙ্গে এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাদুরিয়া প্রসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরও সমালোচনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ”আপনাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া, ”আমি কিন্তু ঠাণ্ডা ঘরে বসে রাজ্যপাট চালায় না। জেলায় জেলায় মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়ায়।” মনে করিয়ে দেন, ”চেয়ারে বসে প্রশাসন না চালিয়ে নিয়মিত এলাকায় যেতে হবে। মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে।”

আরো নতুন খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বিভিন্ন সময় আইসিডিএস কেন্দ্রের পরিকাঠামো থেকে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, এর জন্য প্রাথমিকভাবে বিডিওদেরকেই দোষী সাব্যস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং তিনি বিডিও দের সতর্ক করেন যাতে তারা নিয়মিতভাবে খাবারের মান পরিদর্শন করে। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সিউড়ি-১ ব্লকের বিডিও বদরুজদোজা খানের উদ্দেশ্যে বলেন, ”আপনি এলাকার আইসিডিএস কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত যান?” উঠে দাঁড়িয়ে বিডিও বলেন, ”হ্যাঁ ম্যাডাম, আমি নিয়মিত প্রতিটি আইসিডিএস কেন্দ্রে যায়। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে।” মুখ্যমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন এবং অন্যদেরকে তাকে দেখে শেখার কথাও বলেন। এবং, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এমন প্রশাসনিক আধিকারিকই চাই। যিনি এলাকায় এলাকায় যাবেন। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ রক্ষা করবেন। কাজ কি রকম হচ্ছে, তা নিজে চোখে দেখে আসবেন।”
এরপর বাদুড়িয়ার মরা মুরগির ব্যবসা প্রসঙ্গে বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে প্রাণী সম্পদ দফতরের সচিব বি পি গোপালিকাকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কাঠগোড়ায় তুললেন। এবং এখানেই অন্যান্য আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় গোপালিকাকে বললেন, ”দিনের পর দিন ওই বেআইনি কারবার চলছিল। অথচ আপনার কাছে কোনও খবর ছিল না? এই জিনিস যেন আর না হয়। গাফিলতি বরদাস্ত করব না। আরও বেশি সর্তক হন।”
এই বৈঠক চলে টানা ১ঘণ্টা ২৫ মিনিট। বৈঠকে এলাকার উন্নয়নের হাল হকিকতের বিস্তারিত খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২.৪৫ থেকে দুপুর ২.১০ এর এই বৈঠকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ”উন্নয়নের প্রশ্নে কোনওরকম ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করব না। পদে থাকতে হলে মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে।” উন্নয়নই যে তাঁর ধ্যান, জ্ঞান – তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বৈঠকে তারাপীঠ-সিউড়ি রাস্তার দুর্ঘটনার কথাও আলোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট রাস্তার ‘ব্ল্যাক স্পট’গুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। মমতার কথায়, ”মাঝে মধ্যেই শুনি তারাপীঠ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। আমি চাই না দুর্ঘটনায় আর একজনও মানুষ মারা যাক। আপনার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।” তাই তিনি বেপরোয়া গাড়ি চলাচল রুখতে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার বসানোরও পরামর্শ দেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!