এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ডেঙ্গু-মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নজিরবিহীন গবেষণালব্ধ হোমিওপ্যাথিক প্রজেক্ট

ডেঙ্গু-মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নজিরবিহীন গবেষণালব্ধ হোমিওপ্যাথিক প্রজেক্ট


রাজ্যের ডেঙ্গু, জাপানি এনসেফেলাইটিসের মত মশাবাহিত রোগকে প্রতিহত করতে পারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ-বিভিন্ন সময়ে গবেষনা করে এইসমস্ত দাবি করেছে বোস ইনস্টিটিউট, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ, স্কুল অফ ট্রপিক্যালের মত গবেষনা কেন্দ্রগুলি। আর তাদের সেই কথামত রাজ্যের 30 হাজার মানুষের ওপর এইসমস্ত ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধক হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া এই ওষুধটি বরানগর পুরসভার 1, 4, 8 এবং 27 নং ওয়ার্ডে মানুষকে দেওয়া হবে। গত 10 সেপ্টেম্বর থেকে বরানগরে অবস্থিত ডাঃ অঞ্জলি চ্যাটার্জি রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথি থেকে এই ওষুধ দেওয়ার কাজ ও শুরু হয়েছে।  সূত্রের খবর, মোট 30 হাজার মানুষের মধ্যে দুটি ভাগ করা হয়েছে। 20 হাজার মানুষের গ্রুপটিতে প্রতি সপ্তাহে একবার করে তিন থেকে চারটি গ্লোবিউল ইউপেটোরিয়াম খাওয়ানো হচ্ছে তাঁদের।

অন্যদিকে অপর গ্রুপটিতে যেখানে 10 হাজার মানুষ রয়েছে সেখানে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ডেঙ্গু সম্পর্কে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় আনন্দিত বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং সিসিআরএইচের গভর্নিং বডির সদস্য ডাঃ রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ ডেঙ্গু এবং জাপানি এনসেফেলাইটিসে যে ভালো কাজ দেয় তা প্রমানিত।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে বিশিষ্ট এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কথামত বিভিন্ন গবেষনাপত্রতেও প্রকাশিত হয়েছে যে, এই ক্রোটেলাস হরিদাস এবং ফসফরাস এই দুটি ওষুধ হেমাজেরিক ডেঙ্গুর  ক্ষেত্রে বেশ ভালো উপকারী। এমনকী কেন্দ্রের আয়ুশ মন্ত্রকের তরফেও পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে আগামী বছর বাংলাতে এই দুটি ওষুধ চালু হতে পারে বলে খবর। কিন্তু বরানগরে মানুষদের মধ্যে দেওয়া এই ওষুধে সত্যিই কি কাজ হবে? এই প্রসঙ্গে ডাঃ অঞ্জলী চ্যাটার্জি রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথির ইনচার্জ এবং সহ অধিকর্তা ডাঃ দেবব্রত সরকার বলেন, “দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োগ করে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এখানে ছমাস সমীক্ষা চালাব। আগামী ফ্রেবুয়ারিতেই বুঝতে পারব যে এই ওষুধে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কতটা কাজ দিয়েছে।” তবে দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যের মত এই ওষুধ প্রয়োগ করে বাংলাতেও ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!