এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভায় হারের প্রধান কারণ “মাথা” ঘামিয়ে বের করে ফেলল বামফ্রন্ট! জানলে চমকে যাবেন!

লোকসভায় হারের প্রধান কারণ “মাথা” ঘামিয়ে বের করে ফেলল বামফ্রন্ট! জানলে চমকে যাবেন!


2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ভবন থেকে ধীরে ধীরে পাথর খসে পড়তে শুরু করে। একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে থাকে বামেরা। সাংগঠনিক ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও অনেক নেতাকর্মীদের মধ্যেই সেই সদিচ্ছার অভাব দেখা দিতে শুরু করে। যার জেরে শুরু হয় আরও বিপর্যয়। 2011 সালের পর বিরোধী আসনে থাকা বামেরা আজ বড়াই করে নিজেদের বিরোধী দল বলার ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যেতে বসেছে। কিন্তু যে বাংলায় একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল, ক্ষমতা হারানোর পরই কেন তাদের সেই সংগঠনের ভেঙে, মুছড়ে শেষ হয়ে গেল! কেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াইয়ে তারা নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারলেন না!

অনেকে বলছেন, নেতাদের জনপ্রিয়তার অভাব, সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকমত না পৌঁছানো এবং নিজেদের ভোটব্যাংক নিজেদের দখলে না রাখতে পারাই বামেদের কাল হয়েছে। তবে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড অবশ্য এই ব্যাপারে অন্য কথা বলছে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফলাফল করার জন্য তাদের কাছে অর্থ না থাকাটাই প্রধান কারণ বলে দাবি করছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। যা দেখে হতবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব থাকলেও সর্বভারতীয় দল বামেরা যেখানে রাস্তায় বেরিয়ে কৌটো নাচিয়ে অর্থ জোগাড় করেন, সেখানে তারা কেন এবারের নির্বাচনে অর্থ না জোগাড় করায় খারাপ ফলাফল খারাপ হল বলে দাবি করছেন! সূত্রের খবর, গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে নির্বাচনে বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণকেই মুখ্য কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে বামেদের বঙ্গ ব্রিগেড।

অনেকে বলছেন, সিপিএমের বাংলার নেতারা বাংলায় খারাপ ফলাফল নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকাই প্রধান সমস্যা বলে তুলে ধরলে দলীয় সংগঠনেই যে তাদের ফাঁকফোকর রয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। কেননা সিপিএমে দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। তাহলে কি দলের সদস্য পদ কমে গেছে, আর সেই কারণে তারা ঠিকমতো অর্থ জোগাড় করতে পারেনি! তা নিয়েও একটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতার মসনদ থেকে চলে যাওয়ার পর বামেরা সেইভাবে বাংলায় নিজেদের সংগঠনকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য লড়াই, আন্দোলন করেনি। আর যার কুফসল প্রতিটা নির্বাচনী তাদের ভোটবাক্সে পড়েছে। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসায়, তাদের ভোটবাক্স যে হালকা হতে শুরু করেছে তাতে সেই বাক্সে ভোট নাকি অর্থের এখন বেশি প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!