এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিদায় ঘন্টা বেজে গেল! পরিবর্তনের নয়া স্লোগান বাঁধলেন শুভেন্দু!

মমতার বিদায় ঘন্টা বেজে গেল! পরিবর্তনের নয়া স্লোগান বাঁধলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, মানুষকে বোকা বানিয়ে চিরকাল বুঝি ক্ষমতায় টিকে থাকবেন। কিন্তু সেটা কোনো শাসকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। তাই তার পক্ষেও এর অন্যথা হবে কি করে? সততার প্রতীকের বুলি আওরে বেশিদিন অন্তত ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। এটা বেশ ভালো করেই এখন বুঝতে পারছেন তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা। এতদিন মানুষ অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছে। কিন্তু আর মুখ বুজে না থেকে সন্দেশখালি যেভাবে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে, যেভাবে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের সামনে শাহজাহানের গ্রেপ্তারি কবে হবে, তা নিয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন না সেখানকার মহিলারা, তাতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা যতই বলুক যে, তার সরকার মানুষের কাজ করছে, তাই মানুষ তাদের পাশে রয়েছে, তবে বাস্তবটা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। বিগত বাম সরকারের আমলে শেষের দিকে নন্দীগ্রাম যেভাবে পরিবর্তনের পথ দেখিয়েছিল, যেভাবে নতুন স্লোগান উঠেছিল যে, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম” এবার সন্দেশখালির ঘটনার পর সেই রকমই একটি স্লোগান বর্তমান শাসকের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে। আর তা দেখেই একাংশ বলছেন, রাজ্যে আবার আসতে চলেছে একটা বড় পরিবর্তন। বিদায় নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যে এই বর্তমান তৃণমূল সরকার যে পরিমাণ অত্যাচার মানুষকে করেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে সন্দেশখালীর মানুষের জনবিস্ফোরণ সামনে এসেছে, তাতে নতুন স্লোগান বেঁধে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলা বাহুল্য, এই শুভেন্দু অধিকারী, সেই শুভেন্দু অধিকারী, যিনি বিগত বাম সরকারের আমলে নন্দীগ্রামে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার প্রধান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি খুব ভালো মত জানেন যে, মানুষের পালস কোন কথা বলছে। তাই এখন বিরোধী দলনেতা হিসেবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তিনি সেই নন্দীগ্রামের ছায়াই দেখতে পাচ্ছেন সন্দেশখালিতে। তিনি দেখতে পাচ্ছেন যে, পুলিশের ভয়কে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের চোখে চোখ রেখে গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাত সকালে নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের সময় স্লোগান উঠেছিল, ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। আর এখন স্লোগান উঠছে, সন্দেশখালি চোর মমতার চেয়ার করবে খালি।”

এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, মুখে বড় বড় কথা বলা অনেক সহজ। কিন্তু মানুষের মন বোঝা কঠিন। ভোটের বাক্সে সেই তৃণমূলের দিকেই ভোট পড়বে। হ্যাঁ, তৃণমূলের দিকে ভোট পড়বে, এটা তো অত্যন্ত সত্যি কথা। এতদিন তো তাই হয়ে এসেছে। কারণ এই সন্দেশখালির মত বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল তো ভোট করেনি। সেখানে সন্ত্রাস করে নিজের গুন্ডাদের দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভোট দিতে না পারার যে যন্ত্রনা, তার সঙ্গে যে অত্যাচার, তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এখন হচ্ছে। তাই ভোট কি জিনিস, সেটা আগামী লোকসভা নির্বাচনেই টের পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিনে যে অত্যাচার হয়েছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচন পদ্ধতি হলে সেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে এই সন্দেশখালি সহ গোটা রাজ্যের মানুষ বুঝিয়ে দেবে তৃনমূলের ওপর তারা কতটা বিরক্ত। তাই নন্দীগ্রামে লড়াই আন্দোলনের সাক্ষী থাকা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন, মানুষের ক্ষোভ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সরকারের বিদায় ঘন্টা, তা যে এই সন্দেশখালি থেকেই বাজতে শুরু করেছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!