এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলার আর কত ক্ষতি করবেন মমতা? মহিলাদের আর্তনাদে সোচ্চার দিলীপ!

বাংলার আর কত ক্ষতি করবেন মমতা? মহিলাদের আর্তনাদে সোচ্চার দিলীপ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের মানুষ অনেক ভরসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। বাম আমলে যখন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে লড়াই করেছিলেন, তখন তার লড়াইয়ের মানসিকতা থেকে শুরু করে মানুষের দাঁড়ানো, সব কিছুকেই বড় বিশ্বাস করেছিলেন এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তারা ভেবেছিলেন যে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে গরিবের কথা ভাববেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর যে তিনি এতটা পাল্টে যাবেন, এটা কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু আজকে বাংলায় যা হচ্ছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র মানুষকে টুপি পরিয়ে, বোকা বানিয়ে নিজে ঠিক থাকতে, নিজের পরিবার বাদকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এই ক্ষমতা এবং কুর্সি দখল করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

বিরোধীদের অভিযোগ তেমনটাই। আজকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখলে সকলের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার মা-বোনের আর্তনাদ করছেন। আর এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, তারা নাকি মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য পাঁচশো, হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে। অর্থাৎ তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কথায় বোঝা যাচ্ছে যে, তারা যেন এই সামান্য টাকা দিয়ে মাতৃ শক্তিকে কিনে নিয়েছেন। তবে মা-বোনেরা যে এই ভিক্ষার কাছে মাথা নত করতে রাজি নয়, তাদের সম্মান তাদের সবার আগে এবং সেই মেরুদন্ডটাকে ঠিক রেখে তারা যে এবার এই তৃণমূল সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, সেটা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছে সন্দেশখালি। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হচ্ছে কি? এবার সেই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, এদিন মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে, যেভাবে সন্দেশখালির মহিলারা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর সেই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তা নিয়েই প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। গোটা রাজ্যের মানুষ এই সন্দেশখালি নিয়ে আওয়াজ তুলছেন। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল সরকারের লজ্জা হচ্ছে না। এদিন সেই বিষয়েই বলতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই রাজ্য সরকার ভেবে নিয়েছে ৫০০, ১০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের ইজ্জত কিনে নেওয়া যাবে। কিন্তু এতদিন ধরে যে অত্যাচার হয়েছে, সেখানে এবার তার বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠেছে। মহিলাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই তারা এখন আওয়াজ তুলছেন।”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, প্রথম দিন থেকেই তো বিরোধীরা এবং রাজ্যের যারা গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ, তারা সকলেই তো এই রাজ্য সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয়ের জন্য বিভিন্ন কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে কি লাভ হয়েছে? বরঞ্চ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে হলেও সেই শেখ শাহজাহানের পক্ষেই কথা বলতে দেখা গিয়েছে এই রাজ্যের মাননীয়াকে। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, শেখ শাহজাহান কেন ধরা পড়ছে না! কেন পুলিশ তাকে ধরছে না! অর্থাৎ ওপর তলার একটা আশীর্বাদের হাত সেই শাহজাহানের উপর রয়েছে। সেই কারণেই এত মহিলা জাগরণ হওয়ার পরেও, মাতৃশক্তিরা গর্জে ওঠার পরেও একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মূল অভিযুক্তকে না ধরে তার পক্ষে কথা বলেই চলেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যা আমাদের গোটা রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত লজ্জার বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের তরফে এত চিৎকার করে লাভের লাভ কি হবে, তা সত্যিই কেউ জানেন না। কিন্তু একটা প্রতিবাদ হওয়ার দরকার ছিল। যে প্রতিবাদ বিগত বাম আমলের শেষের দিকে নন্দীগ্রামে হয়েছিল। সেই একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এই সন্দেশখালিতে। তবে বামেদের আমলে যে পরিমাণ অপরাধের খবর সামনে এসেছিল, তার থেকে অনেক বেশি অপরাধ এবং অত্যাচারের খবর আসছে তৃণমূল সরকারের আমলে। তাই তৃণমূল যখন বিদায় নেবে, তখন তাদের বিদায়ের যে যন্ত্রনা, সেই যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করবেন এই সমস্ত অত্যাচারী নেতা-নেত্রীরা। আর সেদিন তারা বুঝবেন যে, ক্ষমতা ভোগ করতে গিয়ে তারা যে অপরাধ করেছেন, যেভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, যেভাবে মানুষের জমি কেড়ে নিয়েছেন, মহিলাদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছেন, তার পাপের ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে! তাই সময় থাকতেই শুধরে যাওয়া উচিত। তা না হলে মানুষের এই প্রতিবাদ যখন ভোট বাক্সে পড়বে, তখন ধুয়ে মুছে যেমন সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তেমনই বহুদিন এই বিদায়ের আর্তনাদ এবং তার করুন সুর শুনতে হবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!