এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ত্রিবেণী সঙ্গমের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মুকুল রায়কে নিয়ে আবারো তীব্র জল্পনার শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে

ত্রিবেণী সঙ্গমের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মুকুল রায়কে নিয়ে আবারো তীব্র জল্পনার শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়কে বলা হয়ে থাকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য। তৃণমূলে থাকাকালীন মূলত তাঁর চেষ্টাতেই রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের চাষ সম্ভব হয়েছিল। পরবর্তীকালে তৃণমূল থেকে অপসারিত হয়ে বিজেপিতে চলে যাবার পর তিনিই রাজ্য রাজনীতির উদ্যান থেকে ঘাসফুল অপসারিত করে পদ্মফুল চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু গত তিন -মাস ধরে বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা আর আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন বাংলার রাজনীতির এই চাণক্য।

যদিও তিনি এখনো রাজ্য বিজেপিতে আছেন, তবু তাঁকে নিয়ে উঠতে শুরু করে দিয়েছে একাধিক প্রশ্নরাশি। প্রশ্ন উঠছে, সামনে বিধানসভা নির্বাচন থাকা স্বত্তেও, তেমন সক্রিয়তা কেন চোখে পড়ছে তাঁর মধ্যে, কেনই বা তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে আক্রমণের তলোয়ারে তেমন সান দিচ্ছেন না। এইসব নানা প্রশ্ন-বিতর্কের মাঝে অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেবার কাজ করেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক চলাকালীন তাঁর কলকাতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হলেন মুকুল রায়। কিন্তু দলে যেন সে অর্থে তিনি অনেকটাই ব্রাত্য। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি যেমন ক্ষুরধার ছিলেন, সে তুলনায় বিজেপিতে তিনি যেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির তুলনায় কেন্দ্রীয় বিজেপিতে তিনি যেন অধিক সমাদৃত। গত লোকসভা নির্বাচনে ২ টি থেকে ১৮ টি আসন যে বিজেপির দখলে এসেছিলো, এরজন্য তাঁর কৃতিত্বকে রাজ্য তেমন গুরুত্ব না দিলেও, কেন্দ্র কিন্তু তা করেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ, কেন্দ্র মুকুল রায়কে নির্বাচন কমিটির কান্ডারি করেই গত নির্বাচনে লড়াই করেছিল, সেইসঙ্গে লড়াইতে আশাব্যঞ্জক ফলও করেছিল। মোদী-শাহেরও যথেষ্ট আস্থাভাজন তিনি। এরকম নানা কারণেই কোলকাতায় থাকার চেয়ে দিল্লিতে থাকতেই যেন বেশি স্বচ্ছন্দ মুকুল রায়ের। রাজ্যসভার সাংসদ পদ অনেকদিনই তাঁর হাতছাড়া হয়ে গেলেও, রয়ে গেছে তাঁর দিল্লির সরকারি বাংলোটি। কিন্তু এতো করেও মুখ বন্ধ করা যাচ্ছে না বেয়ারা প্রশ্নগুলির।

কারণ, মুকুল রায়ের চেষ্টাতেই বাংলার পদ্মবনের এতটা শ্রীবৃদ্ধি, অথচ বিজেপিতে আসার পর আড়াই বছর কেটে গেলেও মুকুল বাবু সে অর্থে দলের কোন পদ লাভ করতে পারেননি। দলের জন্য সব কিছু করেও তিনি যেন নেপথ্যেই থেকে গিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দরবার করেও তিনি যেন সেই তিমিরেই থেকে গিয়েছেন।

তাই শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মুকুল রায় আগামী দিনে কি করতে চলেছেন? বিজেপির যোদ্ধা হয়েই লড়াই করবেন? নাকি পুরোনো সেনাবাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করবেন? নাকি নিজেই বাদশাহ হয়ে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে কোন নতুন রাজনৈতিক দল বা মঞ্চের উদ্ভাবন করবেন? এখন আগামী দিনে তিনি কি করবেন? এর উত্তরটা তিনিই জানেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!