এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএএর সমর্থনে যাদবপুরে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার! পুলিশ আটকানোয় খন্ডযুদ্ধ কর্মীদের সঙ্গে

সিএএর সমর্থনে যাদবপুরে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার! পুলিশ আটকানোয় খন্ডযুদ্ধ কর্মীদের সঙ্গে


 

কার্যত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আসার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক সিএবি এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলন অনেক আগে থেকেই শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার দিন মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পরেই সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল সিটিজেনশিপ অ্যাক্টে পরিণত হয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে ডাক দিয়েছে সকলকে।

কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আন্দোলন সহিংস আকৃতি ধারণ করায় প্রশাসনিক স্তর থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যাদবপুর থেকে এদিন সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের সমর্থনে ভারতীয় জনতা পার্টির যে মিছিল বের হয়, সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দলীয় কার্যকর্তাদের।

বিজেপি সূত্রে পাওয়া খবর মোতাবেক, সোমবার নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে গড়িয়া থেকে যে মিছিল শুরু হয়েছিল, বাঘাযতীনের কাছে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। যার ফলে কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। ঘটনায় একজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলেও খবর।

ফলশ্রুতি স্বরূপ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বসে পড়েন বাঘাযতীন মোড়ে। যার জেরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন জানাতে আগামী 23 ডিসেম্বর কলকাতায় রাজ্য বিজেপির ডাকে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য দপ্তর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই মিছিলে লক্ষাধিক লোকের জমায়েত হবে।”

পাশাপাশি সোমবার পুলিশের তরফ থেকে বিজেপির মিছিলকে আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন জানাতে সোমবার গড়িয়া থেকে মিছিল করে দক্ষিণ কলকাতা জেলা শহরতলী বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের গন্তব্য ছিল যাদবপুর 8 বি বাস স্টান্ড বাঘাযতীনের কাছে।” সেই মিছিলে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ করেন দিলীপবাবু।

সূত্রের খবর, মিছিল আটকে দেওয়ার পরেই বিজেপি নেতা কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন। এই মিছিলে মহিলাদের সঙ্গেও রীতিমত ধস্তাধস্তি করা হয়। ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন একজন বিজেপি কর্মী। এর পরেই যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে রাস্তার উপরে বসে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা শহরতলি সাংগঠনিক কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা, বিশিষ্ট অভিনেত্রী শর্বরী মুখোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ কলকাতা শহরতলি জেলা সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। পুলিশ গায়ের জোরে সেই মিছিল আটকে দেয়। এর পরে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার।”

এই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “এই যে কয়েকদিন ধরে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তান্ডব চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার। তাহলে আমাদের কেন আটকানো হল! শান্তিপূর্ণভাবে যদি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করার অধিকার শাসকদলের থাকে, সেক্ষেত্রে আইনের সমর্থনে মিছিল করার অধিকার বিরোধী দলে রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আটকে দেওয়া মোটেই সংবিধানসম্মত নয়। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই দিকটা দেখাও অবশ্য সরকারের কর্তব্য।”

সবকিছু মিলিয়ে শাসকের নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতা এবং বিরোধীদের নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!